ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনেক ঝড় এসেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক ঝড় এসেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও আমি বলব, দেশ যখন স্থিতিশীল থাকবে,দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে, তখনই দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। আগামী ১ জুন একটি নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন এবং এর আকার হবে ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি। দেশে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করার কারণে বিদ্যমান অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে, যার ফলে বাংলাদেশে আজ স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে।

গতকাল মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) এর ক্যাম্পাসে ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির অভাব, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাব এবং অন্যান্য অনেক বিষয় মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি-এ হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোকে বিশেষ করে তাদের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তাদের সন্তানদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করতে হবে। মুসলমানদের যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে যথাযথভাবে এই সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি-আমরা এটা করতে পারব। যখনই আমি ওআইসি সদস্য দেশে যাই তাদের আমি এই অনুরোধই করি। তিনি বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে বিশ্ব সভ্যতা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোলসহ জ্ঞানের আরও অনেক শাখায় মুসলিম স্কলারদের ব্যাপক অবদান রয়েছে, যা আমাদের মুসলিমদের ঐতিহ্যের গৌরবময় ইতিহাস গড়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সে যুগের মুসলিম স্কলাররা সংস্কৃতি, জ্ঞান অর্জন, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ই অবস্থান থেকে বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর এই পিছিয়ে থাকার কারণগুলো আমাদের বিশ্লেষণ করা দরকার। তিনি বলেন, মুসলিম জাতির এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জোরালো প্রচেষ্টা প্রয়োজন- যাতে করে তারা এক্ষেত্রে আরো অবদান রাখতে পারেন। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব দ্বারা উপস্থাপিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া উচিত নয়। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও অন্যান্য খাতে।

ওআইসি’র মহাসচিব ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেন ব্রাহিম তাহার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ও বক্তব্য রাখেন। সমাবর্তনে ২০২১ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অসামান্য ফলাফলের জন্য দুই ধরনের স্বর্ণপদক আইইউটি স্বর্ণপদক এবং ওআইসি স্বর্ণপদক দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে আইইউটির উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর অর্থায়নে আইইউটির নবনির্মিত মহিলা হলেরও উদ্বোধন করেন। আইইউটি বাংলাদেশের একটি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-যা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আইইউটি’র মূল উদ্দেশ্য হল ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে-বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখা। আইইউটি ওআইসিভূক্ত সদস্য দেশগুলো থেকে সরাসরি অনুদান পায় এবং ছাত্রদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান, বোর্ডিং, বাসস্থান ও চিকিৎসা প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওআইসির সব এজেন্ডা ও কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়ে আসছে। আমরা আইইউটি-এর গর্বিত হোস্ট, এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং আমরা আইইউটি-এর মসৃণ কার্যকারিতার জন্য যে কোনও ধরনের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি, তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে ভবিষ্যতেও আইইউটিকে সমর্থন করার বিষয়ে আমরা এটি বজায় রাখার অঙ্গীকার করছি।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি আমলের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তুলনা ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শাসনামলে ২০০৬ সালে বাজেট ছিল মাত্র ৬১,০০০ কোটি টাকা, আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া অর্থবছরের বাজেট বেড়েছে ৬ লাখ কোটি (গত অর্থবছর) টাকা। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে (বিএনপি আমলে) জিডিপির আকার ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এদিকে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, জনসংখ্যার গড় আয়ু ৫৭ বছর (বিএনপি আমল) থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং গত সাড়ে ১৪ বছরে শিশুমৃত্যু হার কমেছে প্রতি হাজারে ২১, এবং গর্ভাবস্থা জনিত মৃত্যুহার প্রতি ১ লাখে ১২৩ কমেছে। তার সরকার জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট সমাজ এবং একটি স্মার্ট জনশক্তি থাকবে।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

অনেক ঝড় এসেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক ঝড় এসেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও আমি বলব, দেশ যখন স্থিতিশীল থাকবে,দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে, তখনই দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। আগামী ১ জুন একটি নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন এবং এর আকার হবে ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি। দেশে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করার কারণে বিদ্যমান অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে, যার ফলে বাংলাদেশে আজ স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে।

গতকাল মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) এর ক্যাম্পাসে ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির অভাব, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাব এবং অন্যান্য অনেক বিষয় মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি-এ হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোকে বিশেষ করে তাদের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তাদের সন্তানদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করতে হবে। মুসলমানদের যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে যথাযথভাবে এই সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি-আমরা এটা করতে পারব। যখনই আমি ওআইসি সদস্য দেশে যাই তাদের আমি এই অনুরোধই করি। তিনি বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে বিশ্ব সভ্যতা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোলসহ জ্ঞানের আরও অনেক শাখায় মুসলিম স্কলারদের ব্যাপক অবদান রয়েছে, যা আমাদের মুসলিমদের ঐতিহ্যের গৌরবময় ইতিহাস গড়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সে যুগের মুসলিম স্কলাররা সংস্কৃতি, জ্ঞান অর্জন, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ই অবস্থান থেকে বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর এই পিছিয়ে থাকার কারণগুলো আমাদের বিশ্লেষণ করা দরকার। তিনি বলেন, মুসলিম জাতির এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জোরালো প্রচেষ্টা প্রয়োজন- যাতে করে তারা এক্ষেত্রে আরো অবদান রাখতে পারেন। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব দ্বারা উপস্থাপিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া উচিত নয়। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও অন্যান্য খাতে।

ওআইসি’র মহাসচিব ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেন ব্রাহিম তাহার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ও বক্তব্য রাখেন। সমাবর্তনে ২০২১ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অসামান্য ফলাফলের জন্য দুই ধরনের স্বর্ণপদক আইইউটি স্বর্ণপদক এবং ওআইসি স্বর্ণপদক দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে আইইউটির উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর অর্থায়নে আইইউটির নবনির্মিত মহিলা হলেরও উদ্বোধন করেন। আইইউটি বাংলাদেশের একটি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-যা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আইইউটি’র মূল উদ্দেশ্য হল ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে-বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখা। আইইউটি ওআইসিভূক্ত সদস্য দেশগুলো থেকে সরাসরি অনুদান পায় এবং ছাত্রদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান, বোর্ডিং, বাসস্থান ও চিকিৎসা প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওআইসির সব এজেন্ডা ও কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়ে আসছে। আমরা আইইউটি-এর গর্বিত হোস্ট, এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং আমরা আইইউটি-এর মসৃণ কার্যকারিতার জন্য যে কোনও ধরনের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি, তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে ভবিষ্যতেও আইইউটিকে সমর্থন করার বিষয়ে আমরা এটি বজায় রাখার অঙ্গীকার করছি।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি আমলের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তুলনা ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শাসনামলে ২০০৬ সালে বাজেট ছিল মাত্র ৬১,০০০ কোটি টাকা, আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া অর্থবছরের বাজেট বেড়েছে ৬ লাখ কোটি (গত অর্থবছর) টাকা। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে (বিএনপি আমলে) জিডিপির আকার ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এদিকে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, জনসংখ্যার গড় আয়ু ৫৭ বছর (বিএনপি আমল) থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং গত সাড়ে ১৪ বছরে শিশুমৃত্যু হার কমেছে প্রতি হাজারে ২১, এবং গর্ভাবস্থা জনিত মৃত্যুহার প্রতি ১ লাখে ১২৩ কমেছে। তার সরকার জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট সমাজ এবং একটি স্মার্ট জনশক্তি থাকবে।