চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর সেপ্টেম্বরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ১৪৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ১৩ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরের ৬ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর অক্টোবরের প্রথম ৫ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৪২ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসলেও দেশের ১১টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকও। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৫টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংক।
অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংকেও।