শরীয়তপুর জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমার দ্বিতীয় দিন আজ (শুক্রবার)। ইজতেমায় একসঙ্গে জুমার নামাজ পড়লেন অন্তত ১০ হাজার মুসল্লি।
তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের ভুচুরা কানার বাজার এলাকায় ৮ একর বিশাল জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে। ইজতেমায় অংশ নিতে শরীয়তপুর জেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা ময়দানে এসে সমবেত হয়েছেন।
দেশীয় জামাতসহ (সুদান, ইন্দোনেশিয়া, তিউনেশিয়া, ইন্ডিয়া) চারটি বিদেশি জামাত এবং একটি বাকপ্রতিবন্ধীদের জামাত অংশ নিয়েছে শরীয়তপুরের এ ইজতেমায়।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ ইজতেমা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী ইজতেমা।
শরীয়তপুর জেলার এ ইজতেমার জিম্মাদারের দায়িত্বে থাকা মুরব্বি নজরুল ইসলাম ও প্রফেসর মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তাবলীগের মুরব্বিরা তিন দিনব্যাপী এ জেলা ইজতেমায় গুরুত্বপূর্ণ দ্বীন ও ঈমানি বয়ান পেশ করবেন। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় তাবলিক কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ থেকে হজরত মাওলানা মনির বিন ইউসুফ নেতৃত্বে একটি জামাত এসেছেন ইজতেমা পরিচালনার জন্য। একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য আজ অন্তত ১০ হাজার মুসল্লি আসেন ইজতেমা মাঠে।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ইজতেমাকে সফল করতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। এরই মধ্যে ইজতেমায় দুই পর্ব বিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।