ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ওসমান সাম্রাজ্যের বলয়ে মাস্টার মাইন্ড এস এম রানা আত্মগোপনে থেকেও দখল বাণিজ্য চলছে Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শান্তদের সাক্ষাৎ আজ Logo টরন্টোতে দ্যুতি ছড়ালেন মেহজাবীন Logo দ্বিতীয় বিতর্ক চায় কমলা শিবির Logo বিশ্বব্যাংক-এডিবি দেবে ১৭৫ কোটি ডলার Logo গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতের পরিবারকে সহায়তায় গঠিত হলো ফাউন্ডেশন Logo উগ্রবাদ ইস্যুতে ভারতের মনোভাবের পরিবর্তন প্রয়োজন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান গ্রেফতার Logo নাঃগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাবেশে সাধারণ ছাত্রজনতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) অংশ গ্রহণ Logo সোনারগাঁয়ে চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘর ও গরু লুটপাট চালিয়েছে -থানায় অভিযোগ

আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। বুধবার (২৪ মে) দোহায় কাতার ইকোনমিক ফোরাম (কিউইএফ) আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

জনাকীর্ণ হল রুমে এই অধিবেশন পরিচালনা করেন কিউইএফ’র হোস্ট এবং এডিটর হাসলিন্দা আমিন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জনগণকে তাদের অধিকার দিতে চাই যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’

কিছু দলের নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনোই মানুষকে গোনায় ধরতো না।

তিনি বলেন, আমাদের জনগণের জন্য (সেই সময়) একদিনে একবেলা খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তারা জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই এখন যথাসময়েই নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার।
pm2
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, মি. ট্রাম্প এখনও ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারে?

নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়, তারা পাঠাতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, আমি আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নাম উল্লেখ না করে হাসলিন্দা আমিনকে তার প্রশ্নের জবাবে বলেন, দলটি একজন সামরিক শাসক দ্বারা গঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু অন্যরা, আরও অনেক দল আছে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে যখন তার বাবাকে হত্যা করা হয়-তখন সামরিক স্বৈরশাসক সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তখন তারা সমস্ত নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে তার অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে এবং এরপর থেকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি— যার অর্থ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকা উচিত।’

আইএমএফ ঋণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এটা এমন নয় যে আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।

জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প খুঁজছি।’

হাসলিন্দা আমিন বলেন, ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে। তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া তাদের জন্য সম্ভাব্য সরবরাহকারী কিনা?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই যে, বাংলাদেশ অনুসরণ করে— সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনোই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনোই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে- যাতে আমাদের দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ওসমান সাম্রাজ্যের বলয়ে মাস্টার মাইন্ড এস এম রানা আত্মগোপনে থেকেও দখল বাণিজ্য চলছে

আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। বুধবার (২৪ মে) দোহায় কাতার ইকোনমিক ফোরাম (কিউইএফ) আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

জনাকীর্ণ হল রুমে এই অধিবেশন পরিচালনা করেন কিউইএফ’র হোস্ট এবং এডিটর হাসলিন্দা আমিন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জনগণকে তাদের অধিকার দিতে চাই যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’

কিছু দলের নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনোই মানুষকে গোনায় ধরতো না।

তিনি বলেন, আমাদের জনগণের জন্য (সেই সময়) একদিনে একবেলা খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তারা জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই এখন যথাসময়েই নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার।
pm2
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, মি. ট্রাম্প এখনও ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারে?

নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়, তারা পাঠাতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, আমি আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নাম উল্লেখ না করে হাসলিন্দা আমিনকে তার প্রশ্নের জবাবে বলেন, দলটি একজন সামরিক শাসক দ্বারা গঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু অন্যরা, আরও অনেক দল আছে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে যখন তার বাবাকে হত্যা করা হয়-তখন সামরিক স্বৈরশাসক সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তখন তারা সমস্ত নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে তার অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে এবং এরপর থেকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি— যার অর্থ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকা উচিত।’

আইএমএফ ঋণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এটা এমন নয় যে আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।

জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প খুঁজছি।’

হাসলিন্দা আমিন বলেন, ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে। তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া তাদের জন্য সম্ভাব্য সরবরাহকারী কিনা?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই যে, বাংলাদেশ অনুসরণ করে— সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনোই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনোই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে- যাতে আমাদের দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’