ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ওসমান সাম্রাজ্যের বলয়ে মাস্টার মাইন্ড এস এম রানা আত্মগোপনে থেকেও দখল বাণিজ্য চলছে Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শান্তদের সাক্ষাৎ আজ Logo টরন্টোতে দ্যুতি ছড়ালেন মেহজাবীন Logo দ্বিতীয় বিতর্ক চায় কমলা শিবির Logo বিশ্বব্যাংক-এডিবি দেবে ১৭৫ কোটি ডলার Logo গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতের পরিবারকে সহায়তায় গঠিত হলো ফাউন্ডেশন Logo উগ্রবাদ ইস্যুতে ভারতের মনোভাবের পরিবর্তন প্রয়োজন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান গ্রেফতার Logo নাঃগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাবেশে সাধারণ ছাত্রজনতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) অংশ গ্রহণ Logo সোনারগাঁয়ে চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘর ও গরু লুটপাট চালিয়েছে -থানায় অভিযোগ

অসময়ে পদ্মায় ভাঙন

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বর্ষার আগেই পদ্মা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় অসময়ে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ায় আবারও হতাশ হয়ে পড়েছেন তীরবর্তী
বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে গত দুদিনের বৈরি আবহাওয়ার কারণে পদ্মার তীরে ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার হাড়িদিয়া শিমুলবাড়ি, গাওদিয়া, বেজগাঁও, সুন্দিসার, বড়নওপাড়া, বাঘেরবাড়ি ও রাউৎগাঁও এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষার আগেই পদ্মার আগ্রাসী রূপ দেখে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত কয়েকদিন ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘুম নেই নদী পাড়ের তিন শতাধিক পরিবারে।
গত বছর থেকে লৌহজং উপজেলার খড়িয়া থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় পর্যন্ত ৯ দশমিক ১ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মাতীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙন এলাকার মধ্যে গাওদিয়া, বড়নওপাড়া, সুন্দিসার, বাঘেরবাড়ি প্রকল্পের আওতায় থাকলেও রাউতগাও ও হাড়িদিয়া গ্রামের শিমুলবাড়ি প্রকল্পের বাইরে রয়েছে। এই রাউতগাও ও শিমুলবাড়ি এখন নদী ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ব্রাহ্মণগাও উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে পদ্মার উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে গেছে। এতে অনেকের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে এবং গাওদিয়া ইউনিয়নের শিমুলবাড়ির রফিক মিয়ার বাড়ি থেকে জলিল ফকির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে পদ্মার উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে গেছে। এতে অনেকের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এই এলাকায় গত বছর জরুরি জিওব্যাগ ফেলা হয়ে ছিলো। এছাড়া গাওদিয়া ও বেজগাঁও ইউনিয়নের পদ্মার তীর এলাকায় গত বছর জিওব্যাগ ফেলানো এলাকায় আবার নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢেউয়ের তোড়ে মাটি সরে গিয়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে। কেউ কেউ রশি-বাঁশ দিয়ে ভাঙনরোধে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেউ আবার পড়ে যাওয়া গাছ কেটে নিচ্ছেন। এলাকায় সাংবাদিকের আগমন শুনে নানা বয়সী মানুষ দলবেঁধে ছুটে আসেন। তারা ভাঙন এলাকাকে প্রকল্পের আওতায় নিয়ে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির কাছে দ্রুত নদী শাসনের দাবি জানান।
ভুক্তভোগী গাওদিয়া ইউনিয়নের উসমান ঢালী, রফিক ও লিটন মাতবর জানান, দ্রুত অস্থায়ী বাঁধ না দেয়া হলে তাদের শেষ সম্বল বসতভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ইউনুস দেওয়ান বলেন, পূর্বে নদী ভেঙে গাওপাড়া থেকে হাড়িদিয়া আসেন ১৫ বছর হয়েছে হাড়িদিয়ায় বসবাস করেন। ২৫ শতাংশ জায়গা কিনেন হাড়িদিয়ার নদীর পাড়ে। এখন ৫ শতাংশ জায়গা আছে চরে কৃষি কাজ করে সংসার চালাইতাম, চরও বিলিন হয়ে গেছে। এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এখন নদীতে বাড়ি বিলিন হয়ে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাবেন। তাই সরকারের কাছে এই জায়গা বাঁধের আওতায় আনার অনুরোধ করেন।
ভুক্তভোগী শিলা বেগম জানান ৪দিন আগেও নদী দূরে ছিল। গত দুদিনের ঝড়ে ঢেউয়ের আঘাতে আমার ঘরের নিচের মাটি সরে গেছে। ভয়ে ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, দুই বছর আগে এনজিও থেকে কিস্তি নিয়ে এই ঘর তুলেছি। গত সপ্তাহে ঋণের কিস্তি শোধ করেছি। এখন ভাঙনের মুখে থাকা এই ঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে ৫ হাজার টাকা লাগবে। আমার স্বামী ঢাকার একটি দোকানের কর্মচারী। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি, ঘর সরাবো কিভাবে?
সত্তরোর্ধ্ব মনোয়ারা বেগম বলেন, তিনবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছি। এবার ভাঙলে আর বাঁচার উপায় নাই আমাদের। তিনি সরকারের কাছে আপাতত বস্তা (জিওব্যাগ) ফেলে এবং পরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
একটু দূরেই দেখা যায়, লোকজন নিয়ে বাঁশ পুঁতে ভাঙন ঠেকাতে ব্যস্ত রাজ্জাক শেখ ও ওরফে রেজু শেখকে। তিনি বলেন, আমরা কি দোষ করেছি, আমাদের এলাকা কেন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের বাইরে রাখা হলো?
সদ্য স্বামীহারা রেহানা বেগমের ঘরের অর্ধেক নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। তিনি তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তিনি না পারেন ঘরে থাকতে, না পারেন এলাকা ছেড়ে দূরে যেতে। এ ছাড়া আতঙ্কিত চান মিয়া, জিতু শেখ, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো. রিয়াদ নদী ভাঙনরোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল আউয়াল ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এগুলো বড় ধরনের নদী ভাঙা নয় এগুলো ঢেউয়ে ভাঙছে। আজ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড যেসব জায়গা ফাকা আছে সেই স্থানে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
মুন্সীগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, ৪শ’ ৪৬ কোটি টাকা বাজেটের রক্ষাবাঁধ প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে নতুন চার কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় আরও ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনি আজকের মধ্যে ভাঙন এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হবে বলে জানান।
এই প্রকৌশলী আরও জানান, গত বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। তবে কাজের অগ্রগতি মাত্র ২০ শতাংশ।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ওসমান সাম্রাজ্যের বলয়ে মাস্টার মাইন্ড এস এম রানা আত্মগোপনে থেকেও দখল বাণিজ্য চলছে

অসময়ে পদ্মায় ভাঙন

আপডেট সময় ০৩:৫০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বর্ষার আগেই পদ্মা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় অসময়ে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ায় আবারও হতাশ হয়ে পড়েছেন তীরবর্তী
বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে গত দুদিনের বৈরি আবহাওয়ার কারণে পদ্মার তীরে ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার হাড়িদিয়া শিমুলবাড়ি, গাওদিয়া, বেজগাঁও, সুন্দিসার, বড়নওপাড়া, বাঘেরবাড়ি ও রাউৎগাঁও এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষার আগেই পদ্মার আগ্রাসী রূপ দেখে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত কয়েকদিন ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘুম নেই নদী পাড়ের তিন শতাধিক পরিবারে।
গত বছর থেকে লৌহজং উপজেলার খড়িয়া থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় পর্যন্ত ৯ দশমিক ১ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মাতীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙন এলাকার মধ্যে গাওদিয়া, বড়নওপাড়া, সুন্দিসার, বাঘেরবাড়ি প্রকল্পের আওতায় থাকলেও রাউতগাও ও হাড়িদিয়া গ্রামের শিমুলবাড়ি প্রকল্পের বাইরে রয়েছে। এই রাউতগাও ও শিমুলবাড়ি এখন নদী ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ব্রাহ্মণগাও উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে পদ্মার উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে গেছে। এতে অনেকের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে এবং গাওদিয়া ইউনিয়নের শিমুলবাড়ির রফিক মিয়ার বাড়ি থেকে জলিল ফকির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে পদ্মার উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে গেছে। এতে অনেকের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এই এলাকায় গত বছর জরুরি জিওব্যাগ ফেলা হয়ে ছিলো। এছাড়া গাওদিয়া ও বেজগাঁও ইউনিয়নের পদ্মার তীর এলাকায় গত বছর জিওব্যাগ ফেলানো এলাকায় আবার নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢেউয়ের তোড়ে মাটি সরে গিয়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে। কেউ কেউ রশি-বাঁশ দিয়ে ভাঙনরোধে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেউ আবার পড়ে যাওয়া গাছ কেটে নিচ্ছেন। এলাকায় সাংবাদিকের আগমন শুনে নানা বয়সী মানুষ দলবেঁধে ছুটে আসেন। তারা ভাঙন এলাকাকে প্রকল্পের আওতায় নিয়ে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির কাছে দ্রুত নদী শাসনের দাবি জানান।
ভুক্তভোগী গাওদিয়া ইউনিয়নের উসমান ঢালী, রফিক ও লিটন মাতবর জানান, দ্রুত অস্থায়ী বাঁধ না দেয়া হলে তাদের শেষ সম্বল বসতভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ইউনুস দেওয়ান বলেন, পূর্বে নদী ভেঙে গাওপাড়া থেকে হাড়িদিয়া আসেন ১৫ বছর হয়েছে হাড়িদিয়ায় বসবাস করেন। ২৫ শতাংশ জায়গা কিনেন হাড়িদিয়ার নদীর পাড়ে। এখন ৫ শতাংশ জায়গা আছে চরে কৃষি কাজ করে সংসার চালাইতাম, চরও বিলিন হয়ে গেছে। এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এখন নদীতে বাড়ি বিলিন হয়ে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাবেন। তাই সরকারের কাছে এই জায়গা বাঁধের আওতায় আনার অনুরোধ করেন।
ভুক্তভোগী শিলা বেগম জানান ৪দিন আগেও নদী দূরে ছিল। গত দুদিনের ঝড়ে ঢেউয়ের আঘাতে আমার ঘরের নিচের মাটি সরে গেছে। ভয়ে ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, দুই বছর আগে এনজিও থেকে কিস্তি নিয়ে এই ঘর তুলেছি। গত সপ্তাহে ঋণের কিস্তি শোধ করেছি। এখন ভাঙনের মুখে থাকা এই ঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে ৫ হাজার টাকা লাগবে। আমার স্বামী ঢাকার একটি দোকানের কর্মচারী। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি, ঘর সরাবো কিভাবে?
সত্তরোর্ধ্ব মনোয়ারা বেগম বলেন, তিনবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছি। এবার ভাঙলে আর বাঁচার উপায় নাই আমাদের। তিনি সরকারের কাছে আপাতত বস্তা (জিওব্যাগ) ফেলে এবং পরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
একটু দূরেই দেখা যায়, লোকজন নিয়ে বাঁশ পুঁতে ভাঙন ঠেকাতে ব্যস্ত রাজ্জাক শেখ ও ওরফে রেজু শেখকে। তিনি বলেন, আমরা কি দোষ করেছি, আমাদের এলাকা কেন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের বাইরে রাখা হলো?
সদ্য স্বামীহারা রেহানা বেগমের ঘরের অর্ধেক নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। তিনি তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তিনি না পারেন ঘরে থাকতে, না পারেন এলাকা ছেড়ে দূরে যেতে। এ ছাড়া আতঙ্কিত চান মিয়া, জিতু শেখ, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো. রিয়াদ নদী ভাঙনরোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল আউয়াল ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এগুলো বড় ধরনের নদী ভাঙা নয় এগুলো ঢেউয়ে ভাঙছে। আজ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড যেসব জায়গা ফাকা আছে সেই স্থানে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
মুন্সীগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, ৪শ’ ৪৬ কোটি টাকা বাজেটের রক্ষাবাঁধ প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে নতুন চার কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় আরও ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনি আজকের মধ্যে ভাঙন এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হবে বলে জানান।
এই প্রকৌশলী আরও জানান, গত বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। তবে কাজের অগ্রগতি মাত্র ২০ শতাংশ।