ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি: নুসরাত ফারিয়া Logo আইপিএলের নতুন নিয়মে অসন্তুষ্ট কলকাতা Logo নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুত হচ্ছে ইসি, অপেক্ষা সরকারের সবুজ সংকেতের Logo বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল Logo মেঘনা নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে সোনাগাঁয়ে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে পরিবেশ অধিদপ্তর Logo সিদ্ধিরগঞ্জে সেমাই প্রস্তুতকারী কারখানায় অভিযান, জরিমানা Logo বন্দরে মেয়ে ও জামাতার মারধরে বৃদ্ধ নিহত, আটক ১ Logo নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে ২ দালাল আটক, দণ্ড Logo সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখি সমাবায় সমিতির নিবোচন অনুষ্ঠিত Logo বন্দরে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

ফতুল্লায় যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

ফতুল্লায় পাভেল (৩৭) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জুবায়ের আহমেদ (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃত জুবায়ের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার জুয়েল এর ছেলে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) র‌্যাব-১১ এর অপস্ অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব জানায়, পাভেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রায়হান বাবুসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানাগেছে, গত ৩১ মার্চ, ঈদুল ফিতরের আগের দিন ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় হাসমত উল্লাহর ছেলে পাভেল ও পাশের বাড়ির রায়হান বাবুর মধ্যে মাদক কেনাবেচার টাকার লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

এর জেরে ঈদের দিন ভোরে রায়হান বাবু ও তার সহযোগীরা পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের মা নূরী বেগম বাদী হয়ে রায়হান বাবুসহ পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। জুবায়ের আহমেদ এ মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি।

মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন,‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রায়হান বাবু এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পাভেলের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাদকের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি: নুসরাত ফারিয়া

ফতুল্লায় যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

আপডেট সময় ১০:৫২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ফতুল্লায় পাভেল (৩৭) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জুবায়ের আহমেদ (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃত জুবায়ের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার জুয়েল এর ছেলে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) র‌্যাব-১১ এর অপস্ অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব জানায়, পাভেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রায়হান বাবুসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানাগেছে, গত ৩১ মার্চ, ঈদুল ফিতরের আগের দিন ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় হাসমত উল্লাহর ছেলে পাভেল ও পাশের বাড়ির রায়হান বাবুর মধ্যে মাদক কেনাবেচার টাকার লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

এর জেরে ঈদের দিন ভোরে রায়হান বাবু ও তার সহযোগীরা পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের মা নূরী বেগম বাদী হয়ে রায়হান বাবুসহ পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। জুবায়ের আহমেদ এ মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি।

মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন,‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রায়হান বাবু এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পাভেলের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাদকের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।