এবার ঈদে টানা ৯ দিন ছুটির কবলে পড়ে দেশ। দীর্ঘ এ সময়ে বন্ধ থাকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বন্ধ ছিল শেয়ারবাজারে লেনদেনও। দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ রোববার সকাল থেকে খুলেছে ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে ফুরফুরে মেজাজে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদের লম্বা ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে সেবা কার্যক্রম। শাখাগুলোয় কাজের চাপও তুলনামূলক কম। কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে এখনও বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। সকালে নির্ধারিত সময়ে অফিসে এসে একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে ঢিলেঢালাভাবে চলছে সেবা কার্যক্রম। অনেক কাউন্টারই ফাঁকা, নেই গ্রাহকের উপস্থিতি। অনেক কাউন্টারে আবার কর্মকর্তা আসেননি ব্যক্তিগত ছুটির কারণে।
ব্যাংকারদের উপস্থিতি থাকলেও গ্রাহকের চাপ ছিল কম। প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকমুখী হননি অনেক গ্রাহক। আবার এর মধ্যে অনেকেই ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কাজ সেরেছেন। নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেছেন কিছু গ্রাহক। অনেক গ্রাহককেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলতে দেখা যায়।
আবু সুফিয়ান নামে এক গ্রাহক সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় এসেছেন টাকা তোলার জন্য। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের পর গ্রাহক থাকে না, আজও কম আছে। জরুরি প্রয়োজনে আসতে হলো। আমাদের ছোট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে এ কারণে টাকা তুলতে এসেছি। প্রায় সব কাউন্টার ফাঁকা এটা দেখে ভালো লাগছে। সবাই সবার সঙ্গে কথা বলছেন, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। গ্রাহক হিসেবে আমাকে শুভেচ্ছা জানালো, ভালো লাগছে।
অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুব জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণত ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে গ্রাহক সমাগম কম থাকে। তবে আমাদের ডিউটি, সব চলমান থাকে। এর মধ্যে একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করি, আমরা একে অপরের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়ে থাকি। এভাবেই সেবা ও শুভেচ্ছায় কাটে দিন।