ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী ও বাতেনপাড়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর একটি কুচক্রী মহল তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং অতিরিক্ত গ্যাসের চুলা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠে। নারায়ণগঞ্জ তিতাস কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব টাকা উঠাচ্ছে ঠিকাদাররা।

নাসিক ১ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। পাইনাদী ও বাতেন পাড়া এলাকায় বহুতল ভবন ১ হাজারেরও বেশি গড়ে উঠেছে। এইসব ভবনে বেশির ভাগই অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব ভবন থেকে অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে নামধারী ঠিকাদাররা। তিতাসের কর্মকর্তাদের নাম বলে এসব টাকা তোলা হয় । উক্ত এলাকাগুলোতে তিতাসের অভিযান হয়নি বলে জানায় এলাকাবাসী। রাতের আধারে এসব ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। এসব ভবন থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ১ নং ওয়ার্ড পাইনাদি নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় নতুন বহুতল ভবন হাজারেরও বেশি গড়ে উঠেছে। এসব ভবনের বেশিরভাগ গ্যাস সংযোগ অবৈধ বলে জানা যায়। অতিরিক্ত চুলা থেকে প্রতিমাসে এক একটি ভবন থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা তোলা হয় নারায়ণগঞ্জ তিতাস অফিসের কথা বলে। যেসব ভবন মালিক প্রতিমাসে টাকা দিবে তাদের অবৈধ গ্যাস সংযোগ আর বিচ্ছিন্ন করা হবে না। এলাকাবাসী জানায়, সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় বেশিরভাগ বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব বাড়ি থেকে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে ঠিকাদাররা। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঠিকাদার ও এলাকার মাস্তানদের দিয়ে এসব টাকা কালেকশন করানো হয়। তারা আরো বলেন, রহস্যজনক কারণে তিতাস কর্মকর্তারা পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়ায় অভিযান চালাচ্ছেন না। কারণ এই পাদনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া থেকে প্রতি মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে আদায় হচ্ছে। এতে করে সরকার মাসে কোটি-কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

সচেতন মহলের দাবি, উক্ত এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভবন মালিক ও ঠিকাদারদের আইনের আওতায় আনা হোক।

সেই সাথে তিতাসের যেসব অসাধু কর্মকর্তারা এই অবৈধ কাজে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নারায়ণগঞ্জ তিতাসের গ্যাসের ম্যানেজার মোস্তাক মাসুদ ইমরান বলেন, উক্ত এলাকাগুলোতে অতি দ্রুত অভিযান করা হবে। সেই সাথে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যে সব ঠিকাদার এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

হোম অ্যাডভান্টেজ নেবে বাংলাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী ও বাতেনপাড়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি

আপডেট সময় ০৯:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর একটি কুচক্রী মহল তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং অতিরিক্ত গ্যাসের চুলা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠে। নারায়ণগঞ্জ তিতাস কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব টাকা উঠাচ্ছে ঠিকাদাররা।

নাসিক ১ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। পাইনাদী ও বাতেন পাড়া এলাকায় বহুতল ভবন ১ হাজারেরও বেশি গড়ে উঠেছে। এইসব ভবনে বেশির ভাগই অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব ভবন থেকে অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে নামধারী ঠিকাদাররা। তিতাসের কর্মকর্তাদের নাম বলে এসব টাকা তোলা হয় । উক্ত এলাকাগুলোতে তিতাসের অভিযান হয়নি বলে জানায় এলাকাবাসী। রাতের আধারে এসব ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। এসব ভবন থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ১ নং ওয়ার্ড পাইনাদি নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় নতুন বহুতল ভবন হাজারেরও বেশি গড়ে উঠেছে। এসব ভবনের বেশিরভাগ গ্যাস সংযোগ অবৈধ বলে জানা যায়। অতিরিক্ত চুলা থেকে প্রতিমাসে এক একটি ভবন থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা তোলা হয় নারায়ণগঞ্জ তিতাস অফিসের কথা বলে। যেসব ভবন মালিক প্রতিমাসে টাকা দিবে তাদের অবৈধ গ্যাস সংযোগ আর বিচ্ছিন্ন করা হবে না। এলাকাবাসী জানায়, সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় বেশিরভাগ বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব বাড়ি থেকে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে ঠিকাদাররা। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঠিকাদার ও এলাকার মাস্তানদের দিয়ে এসব টাকা কালেকশন করানো হয়। তারা আরো বলেন, রহস্যজনক কারণে তিতাস কর্মকর্তারা পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়ায় অভিযান চালাচ্ছেন না। কারণ এই পাদনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া থেকে প্রতি মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে আদায় হচ্ছে। এতে করে সরকার মাসে কোটি-কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

সচেতন মহলের দাবি, উক্ত এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভবন মালিক ও ঠিকাদারদের আইনের আওতায় আনা হোক।

সেই সাথে তিতাসের যেসব অসাধু কর্মকর্তারা এই অবৈধ কাজে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নারায়ণগঞ্জ তিতাসের গ্যাসের ম্যানেজার মোস্তাক মাসুদ ইমরান বলেন, উক্ত এলাকাগুলোতে অতি দ্রুত অভিযান করা হবে। সেই সাথে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যে সব ঠিকাদার এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।