ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্র না হয়েও কিভাবে ছাত্রদলের সভাপতি জুম্মান?

স্টাফ রির্পোটার : ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদের পথেই হাঁটছেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুম্মন ইসলাম ইমন। বহিষ্কৃত রিয়াদের মতো করে ভ‚য়া বন্ধু জুম্মন বাদশার এস.এস.সি সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ও নগদ ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়েছিলেন সাবেক সভাপতি জুম্মন। যা দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে আসলে বর্তমানে ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে। এদিকে বর্তমানে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এই জুম্মন। যার ফলে দূর্বল হতে পারে ছাত্রদলের রাজনীতি। এদিকে ছাত্রত্ব না থাকা সত্তে¡ ও ছাত্রদলের ইউনিয়নের সভাপতি পদে আদিষ্ট থাকায় জুম্মনকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে হৈ চৈ। এমন জুম্মনের কারণেই ছাত্রদলের অংশ পাচ্ছেনা প্রকৃত ছাত্র ও তুখোর রাজনীতিবীদরা। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ছাত্রদলের রাজনীতি।

জানা গেছে, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদ কমিটিতে স্থান পেতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে ভ‚য়া সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পর ধরা খেলে, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাকে বহিষ্কার করে। কিন্তু তারই দেখানো পথে চলা জুম্মান নেতার দেখানো পথে চলে নেতা বনে যায়। জুম্মান বাদশা নামক এক ছেলের এস এস সি সার্টিফিকেট দিয়ে এবং ওই নামের সাথে কালিরবাজারের এক কম্পিউটার এর দোকান থেকে বুয়া ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে থানা ছাত্রদলের কাছে জমা দিয়েছিলেন জুম্মান। পরে জুম্মানের নেতা রিয়াদের দেখানো পথে চলে ভাগ্যর চাকা খুলে যায় জুম্মানের। তাছাড়াও সে অর্থের বিনিময়ে অনেক অছাত্র ও বিবাহিতদের দিয়ে এনায়েতনগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি দিয়েছিলেন এমন অহর অহর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জুম্মান বেগম রোকেয়া স্কুলে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত লেখাপড়া করেই এখন নিজেকে এস.এস.সি পাশ, এইচ. এস.সি পাশ শিক্ষিত নেতা হিসেবে দাবি করছেন। বর্তমানে এই কথিত জুম্মন বড় পদে থাকায় এনায়েতনগরের মাসদাইর, বেকারীর মোড়, পাকা পুল চষে বেড়াচ্ছেন। তার চাঁদাবাজি ও বেপরোয়াপনায়সহ ব্যাপক মাদদকারবারিতে অতিষ্ট সাধারণ জনগণ। বর্তমানে এই কথিত মিথ্যাচার ছাত্রদল নেতা জুম্মনের বহিস্কার চায় এলাকবাসী।

এদিকে ২০২৩ সালের (১৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা ও মহানগরসহ নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সকল ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্র না হয়েও কিভাবে ছাত্রদলের সভাপতি জুম্মান?

আপডেট সময় ১০:২৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রির্পোটার : ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদের পথেই হাঁটছেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুম্মন ইসলাম ইমন। বহিষ্কৃত রিয়াদের মতো করে ভ‚য়া বন্ধু জুম্মন বাদশার এস.এস.সি সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ও নগদ ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়েছিলেন সাবেক সভাপতি জুম্মন। যা দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে আসলে বর্তমানে ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে। এদিকে বর্তমানে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এই জুম্মন। যার ফলে দূর্বল হতে পারে ছাত্রদলের রাজনীতি। এদিকে ছাত্রত্ব না থাকা সত্তে¡ ও ছাত্রদলের ইউনিয়নের সভাপতি পদে আদিষ্ট থাকায় জুম্মনকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে হৈ চৈ। এমন জুম্মনের কারণেই ছাত্রদলের অংশ পাচ্ছেনা প্রকৃত ছাত্র ও তুখোর রাজনীতিবীদরা। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ছাত্রদলের রাজনীতি।

জানা গেছে, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদ কমিটিতে স্থান পেতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে ভ‚য়া সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পর ধরা খেলে, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাকে বহিষ্কার করে। কিন্তু তারই দেখানো পথে চলা জুম্মান নেতার দেখানো পথে চলে নেতা বনে যায়। জুম্মান বাদশা নামক এক ছেলের এস এস সি সার্টিফিকেট দিয়ে এবং ওই নামের সাথে কালিরবাজারের এক কম্পিউটার এর দোকান থেকে বুয়া ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে থানা ছাত্রদলের কাছে জমা দিয়েছিলেন জুম্মান। পরে জুম্মানের নেতা রিয়াদের দেখানো পথে চলে ভাগ্যর চাকা খুলে যায় জুম্মানের। তাছাড়াও সে অর্থের বিনিময়ে অনেক অছাত্র ও বিবাহিতদের দিয়ে এনায়েতনগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি দিয়েছিলেন এমন অহর অহর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জুম্মান বেগম রোকেয়া স্কুলে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত লেখাপড়া করেই এখন নিজেকে এস.এস.সি পাশ, এইচ. এস.সি পাশ শিক্ষিত নেতা হিসেবে দাবি করছেন। বর্তমানে এই কথিত জুম্মন বড় পদে থাকায় এনায়েতনগরের মাসদাইর, বেকারীর মোড়, পাকা পুল চষে বেড়াচ্ছেন। তার চাঁদাবাজি ও বেপরোয়াপনায়সহ ব্যাপক মাদদকারবারিতে অতিষ্ট সাধারণ জনগণ। বর্তমানে এই কথিত মিথ্যাচার ছাত্রদল নেতা জুম্মনের বহিস্কার চায় এলাকবাসী।

এদিকে ২০২৩ সালের (১৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা ও মহানগরসহ নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সকল ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।