দুই বছর আগে বিএনপির কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে হাসান মাহমুদ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, দিলীপ বড়ুয়া এবং হারুন অর রশীদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহিদ নূর হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মশিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন হাসান মাহমুদ। আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বাড়িঘরে হামলা চালান হয়। ২০১৯ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কমিশনার পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মাহমুদ। বিভিন্ন এলাকায় প্রচার কার্যক্রম শুরু করেন তিনি।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মদদে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে প্রচার কার্যক্রম না চালানোর হুমকি দেয়। ২০২২ সালের ২৫ জুন সন্ধ্যায় রামপুরা ব্রিজ থেকে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। অজ্ঞাতনামা স্থানে তার ওপর নির্যাতন চালান হয়। পরে তাকে ২৯ জুন হাতিরঝিলে ফেলে রাখা হয়।