ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তারাবির নামাজ থেকে ফিরে দেখলেন বিছানায় স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ Logo ৬ বছর জিতের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, বিচ্ছেদের পর মেয়েও আমাকে বকেছে Logo বরখাস্ত হচ্ছেন কোচ দোরিভাল জুনিয়র! Logo বোয়াও সম্মেলনে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo ৩ বছরে ইউক্রেনে নিহত ১২ হাজার ৮ শতাধিক বেসামরিক : জাতিসংঘ Logo জেলা কৃষকদলের ৭৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে চালু হলো ৮ জোড়া কমিউটার ট্রেন Logo ধনী-গরিব সবাই মিলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে চাই : মামুন মাহমুদ Logo সোনারগাঁয়ে কিশোরী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার Logo ফতুল্লায় আ’লীগ চেয়ারম্যানের চিপস প্যাকেট তৈরির কারখানায় অগ্নিকান্ড

বাংলাদেশি ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজার টেকনাফের নাফ নদী থেকে পাঁচজন বড়শি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জেলেদের ফেরত নিয়ে আসতে বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এর আগে, গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে নাফ নদীর টেকনাফ পৌরসভার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায়।

অপহরণের স্বীকার ৫ বাংলাদেশি হলেন- টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জালিযাপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. আলম (২২), আব্দুল মজিদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৩) ও মো. সাইফুল মিয়া (১৭), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন (১৯) ও চকরিয়া মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস সালাম পরিবারের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের পাঁচজন জেলে বড়শি নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে নামেন। সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে টেকনাফ পৌরসভা সংলগ্ন নাফ নদী থেকে মিয়ানমারের আরকান আর্মির সদস্যরা ধরে নিয়ে যান। রাতে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পরিবারকে অবহিত করেন। তারা বর্তমানে টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমারের প্রাংপুরু আরকান আর্মির হেফাজতে রয়েছেন।

বোরহানের বড় ভাই মো. ইয়াহিয়া বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টেকনাফ বিজিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ক্ষুদ্র মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল গনি বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরিবারের চাহিদা মেটাতে কিছু লোক স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। গতকাল (সোমবার) পাঁচজন বড়শি জেলেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

তারাবির নামাজ থেকে ফিরে দেখলেন বিছানায় স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ

বাংলাদেশি ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

আপডেট সময় ১১:০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার টেকনাফের নাফ নদী থেকে পাঁচজন বড়শি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জেলেদের ফেরত নিয়ে আসতে বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এর আগে, গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে নাফ নদীর টেকনাফ পৌরসভার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায়।

অপহরণের স্বীকার ৫ বাংলাদেশি হলেন- টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জালিযাপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. আলম (২২), আব্দুল মজিদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৩) ও মো. সাইফুল মিয়া (১৭), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন (১৯) ও চকরিয়া মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস সালাম পরিবারের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের পাঁচজন জেলে বড়শি নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে নামেন। সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে টেকনাফ পৌরসভা সংলগ্ন নাফ নদী থেকে মিয়ানমারের আরকান আর্মির সদস্যরা ধরে নিয়ে যান। রাতে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পরিবারকে অবহিত করেন। তারা বর্তমানে টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমারের প্রাংপুরু আরকান আর্মির হেফাজতে রয়েছেন।

বোরহানের বড় ভাই মো. ইয়াহিয়া বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টেকনাফ বিজিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ক্ষুদ্র মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল গনি বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরিবারের চাহিদা মেটাতে কিছু লোক স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। গতকাল (সোমবার) পাঁচজন বড়শি জেলেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।