ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সোনারগাঁয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় উপলক্ষে চাঁদাবাজি, ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমানের বিদায় উপলক্ষে প্রতি স্কুল থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার বিকেলে এ চাঁদাবাজি বন্ধে শিক্ষকদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দায়ের করা হয়েছে।

শিক্ষকদের দাবি, বিদায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা একজন দূর্নীতিবাজ, শিক্ষকদের সাথে অসদ আচরণ ও স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন বরাদ্দে কমিশন ও শিক্ষক বদলি বানিজ্য করেছেন। ফলে তার বিদায়ে কোন প্রকার চাঁদা দেবেন না তারা। এ চাঁদাবাজি বন্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

শিক্ষকরা আরও জানান, সোনারগাঁ উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমানের সংবর্ধনা উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুল থেকে চাঁদা উত্তোলন করেছেন। এ চাঁদা উত্তোলনের জন্য ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিআর বিলকিস, মহজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সলিমুল্লাহ মিয়া, শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল বাশার, আব্দুল হাই ও খালেকুজ্জামান জীবনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উপজেলার ১১৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ চাঁদা উত্তোলন করেন তারা। সকল বিদ্যালয় থেকে সোনারগাঁ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমানের বিদায় উপলক্ষে তার অনুগত শিক্ষকরা ৫শ টাকা করে এই চাঁদা উত্তোলন করেছেন। সোমবার (৭ অক্টোবর)এসব টাকায় ওই কর্মকর্তার বিদায়ী সংর্বধনা দেয়া হয়। শিক্ষকদের কর্ষ্টাজিত টাকা দিয়ে তার মতো দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠান করতে চান না বলেও দাবি করেন তারা।

তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এমরান মিয়া বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান এ উপজেলায় দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর চাকুরী করেন। সোমবার তার কর্মস্থলে শেষ কর্ম দিবস ছিলো। তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ, ঘুষ, স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন বরাদ্দে কমিশন দাবিসহ বিভিন্ন দূর্নীতি করেছেন। তাকে চাঁদাবাজি করে সংবর্ধনা দিতে আমরা রাজি না।

অভিযুক্ত বিআর বিলকিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কারো কাছ থেকে আমি টাকা চাইনি। আমিও টাকা দেইনি। টাকা নিয়েছি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তবে আবুল বাশার, আব্দুল হাই এ টাকা উত্তোলনের দায়িত্বে ছিলেন।

উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সোমবার শিক্ষা কর্মকর্তার শেষ কর্মদিবস উপলক্ষে সমন্বয় সভা হয়। এখানে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। তবে কাউকে টাকা উত্তোলনের জন্য কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কেউ টাকা উত্তোলন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাব করবো।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ছুটিতে থাকার কারনে শিক্ষকদের অভিযোগটি হাতে পাইনি। তবে কর্মস্থলে যোগদান করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

হোম অ্যাডভান্টেজ নেবে বাংলাদেশ

সোনারগাঁয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় উপলক্ষে চাঁদাবাজি, ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমানের বিদায় উপলক্ষে প্রতি স্কুল থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার বিকেলে এ চাঁদাবাজি বন্ধে শিক্ষকদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দায়ের করা হয়েছে।

শিক্ষকদের দাবি, বিদায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা একজন দূর্নীতিবাজ, শিক্ষকদের সাথে অসদ আচরণ ও স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন বরাদ্দে কমিশন ও শিক্ষক বদলি বানিজ্য করেছেন। ফলে তার বিদায়ে কোন প্রকার চাঁদা দেবেন না তারা। এ চাঁদাবাজি বন্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

শিক্ষকরা আরও জানান, সোনারগাঁ উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমানের সংবর্ধনা উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুল থেকে চাঁদা উত্তোলন করেছেন। এ চাঁদা উত্তোলনের জন্য ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিআর বিলকিস, মহজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সলিমুল্লাহ মিয়া, শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল বাশার, আব্দুল হাই ও খালেকুজ্জামান জীবনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উপজেলার ১১৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ চাঁদা উত্তোলন করেন তারা। সকল বিদ্যালয় থেকে সোনারগাঁ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমানের বিদায় উপলক্ষে তার অনুগত শিক্ষকরা ৫শ টাকা করে এই চাঁদা উত্তোলন করেছেন। সোমবার (৭ অক্টোবর)এসব টাকায় ওই কর্মকর্তার বিদায়ী সংর্বধনা দেয়া হয়। শিক্ষকদের কর্ষ্টাজিত টাকা দিয়ে তার মতো দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠান করতে চান না বলেও দাবি করেন তারা।

তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এমরান মিয়া বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান এ উপজেলায় দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর চাকুরী করেন। সোমবার তার কর্মস্থলে শেষ কর্ম দিবস ছিলো। তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ, ঘুষ, স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন বরাদ্দে কমিশন দাবিসহ বিভিন্ন দূর্নীতি করেছেন। তাকে চাঁদাবাজি করে সংবর্ধনা দিতে আমরা রাজি না।

অভিযুক্ত বিআর বিলকিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কারো কাছ থেকে আমি টাকা চাইনি। আমিও টাকা দেইনি। টাকা নিয়েছি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তবে আবুল বাশার, আব্দুল হাই এ টাকা উত্তোলনের দায়িত্বে ছিলেন।

উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সোমবার শিক্ষা কর্মকর্তার শেষ কর্মদিবস উপলক্ষে সমন্বয় সভা হয়। এখানে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। তবে কাউকে টাকা উত্তোলনের জন্য কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কেউ টাকা উত্তোলন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাব করবো।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ছুটিতে থাকার কারনে শিক্ষকদের অভিযোগটি হাতে পাইনি। তবে কর্মস্থলে যোগদান করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।