১৯ দিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
মান্না বলেছেন, সরকারের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, দুঃশাসনের খেসারত দিচ্ছে জনগণ। রেকর্ড মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের দুর্ভোগ এখন চরমে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী, অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফায় বৃদ্ধি করেছে। ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
মান্না বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকার জনগণের দুর্ভোগের তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে। গত বছর রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিছু দিন আগেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ। ভোজ্যতেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের দাম এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম আবারও বাড়বে।
তিনি বলেন, সরকার এবং সরকারি দলের মদতপুষ্টদের লুটপাটের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। রেন্টাল-কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন এবং দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে কেবল ক্ষমতাসীনদের অনুগত এবং মদতপুষ্ট ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আয়ের পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েই গত ১১ বছরে সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। গত তিন বছরেই দেওয়া হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এই স্বজনতোষী ব্যবস্থার বৈধতা দিতে সংসদের মাধ্যমে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। আর এই লুটপাটের টাকার সংস্থান করতে গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১২ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
বিবৃতিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। সরকারের অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সব বিরোধী শক্তির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।