ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগের পোষ্টার লাগানোয় জড়িতদের গ্রেফতারে ছাত্রদলের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান ও সরকারি দপ্তরের সামনে শামীম ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের নামে ছাত্রলীগের পোস্টারিং এর প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেফতারে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিফাতের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া রেলষ্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বেড়িয়ে শহর প্রদক্ষীণ করে। শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পোস্টার সাঁটানোর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিফাত বলেন, ডিসি,এসপি কে বলতে চাই আপনারা দুষ্কৃতিকারীকে শনাক্ত করতে পারেননি। আমরা তা করেছি তিনি ছাত্রলীগ নেতা অনিক। এ ছাড়া এদের সাথে যারা জড়িতদের এই অনিককে গ্রেফতার করে তার মাধ্যমে শনাক্ত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে আপনাদের অফিস ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন ছাত্রদল নেতা রিফাত।

এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন বলেন,আমরা ছাত্রলীগের কুকর্ম দেখেছি তারা চাঁদাবাজি,সন্ত্রাস সব কিছুর সাথে জড়িত ছিলো। অয়ন ওসমানের কিছু অনুসারী তাকে খুশি করতে এবং পলাতক বোরকা শামীমের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে আমরা আপনাদের অফিস ঘেরাও করবো।

বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাকিব মোহাম্মদ রাইয়ান বলেন,ছাত্রলীগের জন্য এই শহরে ঠিকমতো বসবাস করতে পারিনি,তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য ছাত্ররা ঠিক মতো লেখা পড়া করতে পারেনি। হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,যারা পোস্টার লাগান যদি আমরা দেখতে পাই হাত-পা ভেঙে এই শহর থেকে বিতাড়িত করবো।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই ছাত্রলীগ তারা মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের জন্য শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারেনি।এই সংগঠন কিভাবে পোষ্টার লাগায়?তাদের কারা নারায়ণগঞ্জে শেল্টার দিচ্ছে এইসব চিন্হিত করুন।

আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদ দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ, এনায়েত নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুম্মন আহমেদ ইমন।

বিক্ষোভ ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ বাছির, কদম রসুল ছাত্রদলের নেত্রী কাজী কর্ণিয়া, আহমেদ শ্রাবন্তী,মাশরাফি আলম,মো:রাহাত, হামিম আহমেদ,মুক্তার হোসেনসহ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগের পোষ্টার লাগানোয় জড়িতদের গ্রেফতারে ছাত্রদলের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান ও সরকারি দপ্তরের সামনে শামীম ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের নামে ছাত্রলীগের পোস্টারিং এর প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেফতারে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিফাতের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া রেলষ্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বেড়িয়ে শহর প্রদক্ষীণ করে। শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পোস্টার সাঁটানোর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিফাত বলেন, ডিসি,এসপি কে বলতে চাই আপনারা দুষ্কৃতিকারীকে শনাক্ত করতে পারেননি। আমরা তা করেছি তিনি ছাত্রলীগ নেতা অনিক। এ ছাড়া এদের সাথে যারা জড়িতদের এই অনিককে গ্রেফতার করে তার মাধ্যমে শনাক্ত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে আপনাদের অফিস ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন ছাত্রদল নেতা রিফাত।

এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন বলেন,আমরা ছাত্রলীগের কুকর্ম দেখেছি তারা চাঁদাবাজি,সন্ত্রাস সব কিছুর সাথে জড়িত ছিলো। অয়ন ওসমানের কিছু অনুসারী তাকে খুশি করতে এবং পলাতক বোরকা শামীমের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে আমরা আপনাদের অফিস ঘেরাও করবো।

বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাকিব মোহাম্মদ রাইয়ান বলেন,ছাত্রলীগের জন্য এই শহরে ঠিকমতো বসবাস করতে পারিনি,তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য ছাত্ররা ঠিক মতো লেখা পড়া করতে পারেনি। হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,যারা পোস্টার লাগান যদি আমরা দেখতে পাই হাত-পা ভেঙে এই শহর থেকে বিতাড়িত করবো।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই ছাত্রলীগ তারা মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের জন্য শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারেনি।এই সংগঠন কিভাবে পোষ্টার লাগায়?তাদের কারা নারায়ণগঞ্জে শেল্টার দিচ্ছে এইসব চিন্হিত করুন।

আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদ দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ, এনায়েত নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুম্মন আহমেদ ইমন।

বিক্ষোভ ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ বাছির, কদম রসুল ছাত্রদলের নেত্রী কাজী কর্ণিয়া, আহমেদ শ্রাবন্তী,মাশরাফি আলম,মো:রাহাত, হামিম আহমেদ,মুক্তার হোসেনসহ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।