নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেছেন, আমরা চাইলে নারায়ণগঞ্জ কাঁপিয়ে দিতে পারি। প্রশাসনকে হুশিয়ার করে বলতে চাই। অনেক গা-ছাড়া ভাবে চলেছেন। দ্রুত গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার করুন। নয়ত আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে তবে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ইস্যুতে আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আজকের বিক্ষোভ মিছিলের পর আমি ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এতদিন তারা ছিলনা আমাদের নিজেদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। ছাত্রলীগ পোস্টার লাগিয়ে আমাদের আবারও ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে।
ছাত্রলীগের মানসিকতা কী। তারা নাকি এখনও আস্থা রাখে শেখ হাসিনার উপর। তাদের মধ্যে এসকল হত্যাকান্ডের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। তারা বলে, তারা নাকি ভয়ানক হয়ে ফিরে আসবে। তারা কী কঙ্কাল হয়ে ফিরে আসবে।
মানবিকতার জায়গায় এত অপরাধ মনে অনুশোচনা তো থাকা উচিত। আল্লাহ তাদের কীভাবে সৃষ্টি করেছে আমার জানা নেই। হাজার মানুষের ভীড়ে আপনি দেখলে চিনবেন যে এটা ছাত্রলীগ। তাদের মানসিক অবস্থাই এমন।
আমরা সকলে বলেছি। গতরাতে ছাত্রলীগের পেস্টার লাগাতে পারার পেছনে প্রশাসন দায়ী। তাদের গা ছাড়া ভাবের কারণে এটা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের ছেলেরা ওপেনে ঘুরে বেড়ায়। এই সুযোগ প্রশাসন দিয়েছে। তাই তারা পোস্টার লাগানোর সাহস পেয়েছে। এমন সকল জায়গায় তারা পোস্টার লাগিয়েছে। আমরাতো ন্যায্য দাবীতেও পোস্টার লাগাতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা জানি কার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কাজ করেছে। আমরা চাই যারা এই গণহত্যাকারীদের প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদের ঠাই বাংলাদেশে হবে না। এখানে কোন দ্বিধা দ্বন্দ নেই।