পতিত সরকারের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ৫ মাস পরে পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গুম ও হত্যায় জড়িত ২২ পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, এর মধ্যে শেখ হাসিনার নামও আছে। গত ৫ আগস্ট তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। এর পরপরই শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্ট বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে শতাধিক হত্যা মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ভারত থেকে ফেরাতে দেশটিকে চিঠিও দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পরিচালিত হত্যাকা- এবং গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার। এদের মধ্যে গুমের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ২২ জনের এবং জুলাই হত্যাকা-ে জড়িত অভিযোগে ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।