মাদারীপুরের কালকিনিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকারের পর ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। এ বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে ধর্ষক এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পরে দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সুখের কথা ভেবে স্ত্রী ও তার দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে প্রায় এক বছর আগে সৌদি আরব পাড়ি জমান পৌর এলাকার পশ্চিম মিনাজদী গ্রামের যুবক। সেই সুবাদে একই এলাকার আয়নাল খানের ছেলে শফিক খান (২০) বিভিন্ন সময় ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রায় ৬ মাস আগে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক শফিক খান ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। এতে ওই প্রবাসীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার মান-সম্মানের ভয়ে এতদিন গোপন রাখার চেষ্টা করলেও খবরটি ফাঁস হয়ে যায়। পরে নিরুপায় হয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রী শফিক খানকে আসামি করে কালকিনি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলা হওয়ার পরই ধর্ষক শফিক খান সপরিবারে গা-ঢাকা দেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রীর এক আত্মীয় জানান, শফিক খান মাঝে মধ্যেই তাকে উত্ত্যক্ত করত। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় শফিক খান ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মো. শামীম হোসেন জানান, থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।