ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না’

ওপার বাংলার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ তে পাখি ঘোষ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রতীম ডি. গুপ্তা পরিচালিত ‘লাভ আজকাল পরশু’ সিনেমায় তিস্তা চরিত্রে অভিনয় করে বড় পর্দায় পা রাখেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মধুমিতার পরবর্তী ছবি ‘ফেলুবক্সী’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার চরিত্রটা দেখলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে শুধু সাজগোজের কথা ভাবে, বাবলি, চার্পি একটা ক্যারেক্টার। কিন্তু আদতে সে মাথা ঘামায় ফেলুর কেসগুলোকে নিয়ে।’

‘ফেলুকে দেখেও মনে হয় সে খেতে ভালোবাসে, মজার মানুষ। কিন্তু আদতে সেও নিজের কাজের ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস। তারা বাইরে থেকে এক রকম আবার ভিতর থেকে আলাদা।’

চরিত্রটা করার সময়ে নিজের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাওয়া প্রসঙ্গে মধুমিতার ভাষ্য, ‘আমি নিজের প্রশংসা করতে পারি না। নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না। খুব কাজ করছি, দারুণ কিছু করছি, এটা দেখাতে পারি না। এটাই সব থেকে বড় মিল আমার সঙ্গে দেবযানীর। এ ভাবেই আমি চরিত্রটার সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছি।’

এরপর অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন এমন ফটোশুট করতে চাই যা মিনিংফুল। কারণ সব ধরনের লুকে নিজেকে দেখা হয়ে গিয়েছে। তাই ফটোশুটে কেউ যেন পাখি বা ইমনকে না খোঁজেন। তারা যেন মধুমিতাকেই দেখতে পান সেই চেষ্টা করি।’

শেষে মধুমিতার কথায়, ‘অনেকেই মনে করেন রিভিলিং পোশাক পরা বা নিজের একটা স্টেটমেন্ট প্রতিষ্ঠা করাই হয়ত আমাদের প্রাথমিক পছন্দ। আমি বলব এমন ফটোশুট করতে চাই, যা হিউম্যান বিয়িং হিসেবে আমাকে উন্নত করে। শুধুমাত্র ফ্যাশনের দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরোটা দেখতে চাই না।’

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

‘নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না’

আপডেট সময় ১১:২৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ওপার বাংলার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ তে পাখি ঘোষ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রতীম ডি. গুপ্তা পরিচালিত ‘লাভ আজকাল পরশু’ সিনেমায় তিস্তা চরিত্রে অভিনয় করে বড় পর্দায় পা রাখেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মধুমিতার পরবর্তী ছবি ‘ফেলুবক্সী’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার চরিত্রটা দেখলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে শুধু সাজগোজের কথা ভাবে, বাবলি, চার্পি একটা ক্যারেক্টার। কিন্তু আদতে সে মাথা ঘামায় ফেলুর কেসগুলোকে নিয়ে।’

‘ফেলুকে দেখেও মনে হয় সে খেতে ভালোবাসে, মজার মানুষ। কিন্তু আদতে সেও নিজের কাজের ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস। তারা বাইরে থেকে এক রকম আবার ভিতর থেকে আলাদা।’

চরিত্রটা করার সময়ে নিজের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাওয়া প্রসঙ্গে মধুমিতার ভাষ্য, ‘আমি নিজের প্রশংসা করতে পারি না। নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না। খুব কাজ করছি, দারুণ কিছু করছি, এটা দেখাতে পারি না। এটাই সব থেকে বড় মিল আমার সঙ্গে দেবযানীর। এ ভাবেই আমি চরিত্রটার সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছি।’

এরপর অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন এমন ফটোশুট করতে চাই যা মিনিংফুল। কারণ সব ধরনের লুকে নিজেকে দেখা হয়ে গিয়েছে। তাই ফটোশুটে কেউ যেন পাখি বা ইমনকে না খোঁজেন। তারা যেন মধুমিতাকেই দেখতে পান সেই চেষ্টা করি।’

শেষে মধুমিতার কথায়, ‘অনেকেই মনে করেন রিভিলিং পোশাক পরা বা নিজের একটা স্টেটমেন্ট প্রতিষ্ঠা করাই হয়ত আমাদের প্রাথমিক পছন্দ। আমি বলব এমন ফটোশুট করতে চাই, যা হিউম্যান বিয়িং হিসেবে আমাকে উন্নত করে। শুধুমাত্র ফ্যাশনের দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরোটা দেখতে চাই না।’