ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্দরে দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে হামলা, ভাংচুর : আহত ৩

বন্দরে দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে কদম রসুল কমিউনিটি সেন্টারের সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে ৩ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের পালিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।

ওই সময় চাঁদাবাজরা কমিউনিটি সেন্টারের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে নগদ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং সন্ত্রাসী তানজিল এলাকায় আতংক বিরাজ করার জন্য বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করেছে বলে আহত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে।

ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে কমিউনিটি সেন্টারের মালিক নিয়াজ উদ্দিন (৫৩) ছোট ভাই ফয়সাল (৩০) ও ভাগ্না বাবু (৩৯) আহত হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে আহত কমিউনিটি সেন্টারের মালিক নিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই রাতে হামলাকারি তানজিল, মিনতাজ, গোলাম হোসেন, বাপ্পী, শান্তসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকার মৃত মহিউদ্দিন আহাম্মেদ মিয়ার ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদের উল্লেখিত এলাকায় কদম রসুল নামে একটি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে।

এ সুবাদে নবীগঞ্জ এলাকার গোলাম হোসেন মিয়ার ২ সন্ত্রাসী ছেলে তানজিল ও মিনতাজ একই এলাকার মাজু মিয়ার ছেলে বাপ্পী, হানিফ মিয়ার ছেলে শান্ত, মৃত নয়ব আলী মিয়ার ছেলে সালাম, হাবিব মিয়ার ছেলে হাসান, রহমান মিয়ার ছেলে রিফাত, মৃত মুল্লুক চাঁন মিয়ার ছেলে রহমান ও তার ছেলে জাহিদ, একই এলাকার বুলেট, সালাউদ্দিন, একই এলাকার মৃত সাইজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে আলিমুল্লাহ ও মাজু মিয়ার ছেলে জয়সহ অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের নিকট দীর্ঘ দিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে চাঁদাবাজরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের কাছে পুনরায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চাঁদাবাজরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে খুন জখমের হুমকি দামকিসহ নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতা বুধবার রাতে স্থানীয় চাঁদাবাজ তানজিল, মিনতাজ, গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে উল্লেখিত চাঁদাবাজসহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কদম রসুল কমিউনিটি সেন্টারের অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা কমিউনিটি সেন্টারের থাইগ্লাসসহ বিভিন্ন আসভাবপত্র ভাংচুর করে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন ও নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ভাংচুরের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্দরে দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে হামলা, ভাংচুর : আহত ৩

আপডেট সময় ০৯:৪৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্দরে দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে কদম রসুল কমিউনিটি সেন্টারের সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে ৩ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের পালিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।

ওই সময় চাঁদাবাজরা কমিউনিটি সেন্টারের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে নগদ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং সন্ত্রাসী তানজিল এলাকায় আতংক বিরাজ করার জন্য বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করেছে বলে আহত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে।

ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে কমিউনিটি সেন্টারের মালিক নিয়াজ উদ্দিন (৫৩) ছোট ভাই ফয়সাল (৩০) ও ভাগ্না বাবু (৩৯) আহত হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে আহত কমিউনিটি সেন্টারের মালিক নিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই রাতে হামলাকারি তানজিল, মিনতাজ, গোলাম হোসেন, বাপ্পী, শান্তসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকার মৃত মহিউদ্দিন আহাম্মেদ মিয়ার ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদের উল্লেখিত এলাকায় কদম রসুল নামে একটি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে।

এ সুবাদে নবীগঞ্জ এলাকার গোলাম হোসেন মিয়ার ২ সন্ত্রাসী ছেলে তানজিল ও মিনতাজ একই এলাকার মাজু মিয়ার ছেলে বাপ্পী, হানিফ মিয়ার ছেলে শান্ত, মৃত নয়ব আলী মিয়ার ছেলে সালাম, হাবিব মিয়ার ছেলে হাসান, রহমান মিয়ার ছেলে রিফাত, মৃত মুল্লুক চাঁন মিয়ার ছেলে রহমান ও তার ছেলে জাহিদ, একই এলাকার বুলেট, সালাউদ্দিন, একই এলাকার মৃত সাইজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে আলিমুল্লাহ ও মাজু মিয়ার ছেলে জয়সহ অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের নিকট দীর্ঘ দিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে চাঁদাবাজরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের কাছে পুনরায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চাঁদাবাজরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে খুন জখমের হুমকি দামকিসহ নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতা বুধবার রাতে স্থানীয় চাঁদাবাজ তানজিল, মিনতাজ, গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে উল্লেখিত চাঁদাবাজসহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কদম রসুল কমিউনিটি সেন্টারের অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা কমিউনিটি সেন্টারের থাইগ্লাসসহ বিভিন্ন আসভাবপত্র ভাংচুর করে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন ও নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ভাংচুরের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।