ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টের রায় : বাবরসহ খালাস সাত

আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সাত ‘দÐিত’কে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে দÐিত উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার সাজা মৃত্যুদÐ থেকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয়া হয়েছে। আসামিদের আপিল, কারাদÐপ্রাপ্তদের জেল আপিল এবং সরকারপক্ষে ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরিন আক্তারের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। এ সময় দÐিতদের পক্ষের অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আহসান উপস্থিত ছিলেন।

খালাসপ্রাপ্ত ‘দÐিত’রা হলেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, রাষ্ট্রায়ত্ত¡ সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম এনামুল হক, জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নূরুল আমীন, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রি: জে: আব্দুর রহিম (পরবর্তীতে ইন্তেকাল করেন)। মৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা অকার্যকর ঘোষণা করলেও আব্দুর রহিমকে করা ১০ হাজার টাকা অর্থদÐ বহাল রাখা হয়েছে। দশ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আকবর হোসেন, লিয়াকত, সাহাবুদ্দিন, হাফিজ, মঈনুদ্দিন, হাজী আব্দুস সোবহান। মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে এবং তাদের ও অন্য আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত: ২০০৪ সালের ১ এপ্রির চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে বন্দরনগরীর কর্ণফুলি থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে পৃথক ২টি মামলা করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদÐ দেয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদÐাদেশ হয় একই আসামিদের।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দÐিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে আলাদাভাবে আপিল করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টের রায় : বাবরসহ খালাস সাত

আপডেট সময় ০৯:২৮:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সাত ‘দÐিত’কে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে দÐিত উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার সাজা মৃত্যুদÐ থেকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয়া হয়েছে। আসামিদের আপিল, কারাদÐপ্রাপ্তদের জেল আপিল এবং সরকারপক্ষে ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরিন আক্তারের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। এ সময় দÐিতদের পক্ষের অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আহসান উপস্থিত ছিলেন।

খালাসপ্রাপ্ত ‘দÐিত’রা হলেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, রাষ্ট্রায়ত্ত¡ সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম এনামুল হক, জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নূরুল আমীন, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রি: জে: আব্দুর রহিম (পরবর্তীতে ইন্তেকাল করেন)। মৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা অকার্যকর ঘোষণা করলেও আব্দুর রহিমকে করা ১০ হাজার টাকা অর্থদÐ বহাল রাখা হয়েছে। দশ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আকবর হোসেন, লিয়াকত, সাহাবুদ্দিন, হাফিজ, মঈনুদ্দিন, হাজী আব্দুস সোবহান। মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে এবং তাদের ও অন্য আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত: ২০০৪ সালের ১ এপ্রির চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে বন্দরনগরীর কর্ণফুলি থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে পৃথক ২টি মামলা করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদÐ দেয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদÐাদেশ হয় একই আসামিদের।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দÐিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে আলাদাভাবে আপিল করেন।