ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল Logo নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই : শফিকুল আলম Logo বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান করলো মানব কল্যাণ পরিষদ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্মেসিতে অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা Logo ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ Logo ফতুল্লায় কথিত বিএনপি নেতার হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৩ Logo সোনারগাঁয়ে রাস্তায় পড়ে রইল সরকারি ওএমএস চালের বস্তা, চাঞ্চল্য Logo ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছে- আবু জাফর আহমেদ বাবুল Logo রূপগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থী রেদুয়ান’র চোখ উপড়ে ফেলেও সন্ত্রাসী রিফাত গং থেমে নেই, উল্টো মামলা তুলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন Logo যা ভালো লাগে তাই করতে চাই : ভাবনা

আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে ৩৩ শতাংশ

ভারতের ধনকুবের ও ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি থেকে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সরকারি এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বকেয়া নিয়ে বিরোধের জেরে গত মাসে ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আকস্মিকভাবে কমিয়ে দেয় আদানি পাওয়ার। ২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল কোম্পানিটি।

২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ভারতের ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে আদানি। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করার চুক্তি রয়েছে। সেই মতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দামে এতদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির আগের ১২ মাসে দেশের প্রায় ৯ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিজনিত কারণে বিদ্যুতের দাম পুনঃআলোচনা করার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক পাওয়ার কমিটির তথ্য থেকে দেখা যায়, গত নভেম্বর মাসে গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ রফতানি হয়েছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে ৩২ দশকিম ৮ শতাংশ কম। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির ক্ষেত্রে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পতন আদানির।

এদিকে বাংলাদেশে টানা ২১ মাস ধরে হ্রাস পাওয়ার পর পরপর তিন মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি ঘটেছে। গত নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।

টানা পাঁচ মাস পতনের পর গত নভেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও টানা তৃতীয় মাসের মতো হ্রাস পেয়েছে কয়লা-চালিত বিদ্যুতের উৎপাদন।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে ৩৩ শতাংশ

আপডেট সময় ১১:৩৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের ধনকুবের ও ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি থেকে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সরকারি এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বকেয়া নিয়ে বিরোধের জেরে গত মাসে ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আকস্মিকভাবে কমিয়ে দেয় আদানি পাওয়ার। ২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল কোম্পানিটি।

২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ভারতের ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে আদানি। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করার চুক্তি রয়েছে। সেই মতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দামে এতদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির আগের ১২ মাসে দেশের প্রায় ৯ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিজনিত কারণে বিদ্যুতের দাম পুনঃআলোচনা করার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক পাওয়ার কমিটির তথ্য থেকে দেখা যায়, গত নভেম্বর মাসে গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ রফতানি হয়েছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে ৩২ দশকিম ৮ শতাংশ কম। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির ক্ষেত্রে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পতন আদানির।

এদিকে বাংলাদেশে টানা ২১ মাস ধরে হ্রাস পাওয়ার পর পরপর তিন মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি ঘটেছে। গত নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।

টানা পাঁচ মাস পতনের পর গত নভেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও টানা তৃতীয় মাসের মতো হ্রাস পেয়েছে কয়লা-চালিত বিদ্যুতের উৎপাদন।