ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে ভাষাসৈনিকের জায়গা দখলের অভিযোগ

শরীয়তপুরে ভাষাসৈনিক নারায়ণ চন্দ্র দের জায়গা দখলে নিয়ে রাতের আঁধারে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এসময় দখলকারীরা একটি সমাধি ভেঙে তার ওপর দিয়েই ইট গেঁথে রাস্তাটি তৈরি করেন।

গত ৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরে ৯৫ বছর বয়সে মারা যান ভাষাসৈনিক নারায়ণ চন্দ্র দে। তার বসতবাড়িতে ৮৭ শতাংশ জায়গা রয়েছে। বর্তমানে এটি তার পরিবারের দখলে আছে। নারায়ণ চন্দ্রের বাড়ির পাশেই বসবাস করেন শামসুল হক মল্লিকসহ বেশ কয়েকজন। প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য রাস্তা না থাকলেও তাদের কথা চিন্তা করে কয়েক বছর আগে সাড়ে ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দেয় নারায়ণ চন্দ্রের পরিবার। তবে সম্প্রতি শামসুল হক মল্লিকের ছেলে এমদাদুল হক রব্বানী রাস্তাটি আরও প্রশস্ত করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন।

৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে তার লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্বের সীমানা ভেঙে রাস্তাটি প্রশস্ত করে নতুন করে বাঁশ দিয়ে সীমানা বেড়া দেন এবং ইট ফেলে দখলে নেন। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে নারায়ণ চন্দ্রের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে মারধর ও নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

শরীয়তপুরে ভাষাসৈনিকের জায়গা দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরে ভাষাসৈনিক নারায়ণ চন্দ্র দের জায়গা দখলে নিয়ে রাতের আঁধারে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এসময় দখলকারীরা একটি সমাধি ভেঙে তার ওপর দিয়েই ইট গেঁথে রাস্তাটি তৈরি করেন।

গত ৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরে ৯৫ বছর বয়সে মারা যান ভাষাসৈনিক নারায়ণ চন্দ্র দে। তার বসতবাড়িতে ৮৭ শতাংশ জায়গা রয়েছে। বর্তমানে এটি তার পরিবারের দখলে আছে। নারায়ণ চন্দ্রের বাড়ির পাশেই বসবাস করেন শামসুল হক মল্লিকসহ বেশ কয়েকজন। প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য রাস্তা না থাকলেও তাদের কথা চিন্তা করে কয়েক বছর আগে সাড়ে ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দেয় নারায়ণ চন্দ্রের পরিবার। তবে সম্প্রতি শামসুল হক মল্লিকের ছেলে এমদাদুল হক রব্বানী রাস্তাটি আরও প্রশস্ত করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন।

৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে তার লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্বের সীমানা ভেঙে রাস্তাটি প্রশস্ত করে নতুন করে বাঁশ দিয়ে সীমানা বেড়া দেন এবং ইট ফেলে দখলে নেন। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে নারায়ণ চন্দ্রের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে মারধর ও নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।