ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা Logo সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন Logo সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন Logo মাকসুদ চেয়ারম্যানকে বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিবো না : সাখাওয়াত Logo সাংবাদিক জিএম শহীদের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রূপগঞ্জ সকল সাংবাদিকবৃন্দ Logo শহরে জেলা নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে – মমিনুল হক সরকার Logo শাসনগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল জুতা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ Logo সন্ত্রাসের পুনর্বাসন ও ভয়ের সংস্কৃতি রাজনীতি: একটি জাতীয় সংকট

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি ২৪ পরিবারের

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের ২৪ ভুক্তভোগীর পরিবার। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে গত মার্চ মাসে দালালের মাধ্যমে ইতালির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় শরীয়তপুরের ১৯ জন ও মাদারীপুরের পাঁচজন। পরে তাদের ইতালি পৌঁছানোর কথা বলে লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের জিম্মি করে নির্যাতন করে ভিডিও পাঠিয়ে বেশ কয়েক দফায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এরপরও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। দ্রুত মানব পাচারকারীদের জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের মুক্তি ও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী শাজাহান হাওলাদারের মা মেহেরজান বলেন, আমার সন্তান বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে কিছুই জানি না। দালাল মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমার সন্তানকে লিবিয়ায় আটকে রেখেছে। ভিটা বাড়ি বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছি, কিন্তু এরপরও তারা আমার সন্তানকে ছাড়েনি। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই।

আরেক ভুক্তভোগীর বাবা চুন্নু ভূঁইয়া বলেন, মাফিয়ারা কয়েক দফায় ২৮ লাখ টাকা নিয়েছে। আমি সহায়-সম্বল বিক্রি করে তাদের হাতে টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখনো জানি না আমার ছেলে লিবিয়ায় কী অবস্থায় আছে। আমি দালালদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই আর দালালদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। কোর্টের মাধ্যমে মামলাগুলো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি ২৪ পরিবারের

আপডেট সময় ১০:১১:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের ২৪ ভুক্তভোগীর পরিবার। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে গত মার্চ মাসে দালালের মাধ্যমে ইতালির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় শরীয়তপুরের ১৯ জন ও মাদারীপুরের পাঁচজন। পরে তাদের ইতালি পৌঁছানোর কথা বলে লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের জিম্মি করে নির্যাতন করে ভিডিও পাঠিয়ে বেশ কয়েক দফায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এরপরও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। দ্রুত মানব পাচারকারীদের জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের মুক্তি ও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী শাজাহান হাওলাদারের মা মেহেরজান বলেন, আমার সন্তান বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে কিছুই জানি না। দালাল মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমার সন্তানকে লিবিয়ায় আটকে রেখেছে। ভিটা বাড়ি বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছি, কিন্তু এরপরও তারা আমার সন্তানকে ছাড়েনি। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই।

আরেক ভুক্তভোগীর বাবা চুন্নু ভূঁইয়া বলেন, মাফিয়ারা কয়েক দফায় ২৮ লাখ টাকা নিয়েছে। আমি সহায়-সম্বল বিক্রি করে তাদের হাতে টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখনো জানি না আমার ছেলে লিবিয়ায় কী অবস্থায় আছে। আমি দালালদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই আর দালালদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। কোর্টের মাধ্যমে মামলাগুলো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।