ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক Logo নাঃগঞ্জ মহানগর জিসাস ও জেলা জিসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠান ও খাবার বিতরন Logo শহীদ জিয়া’র ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ১৫নং ওয়ার্ড নায়ণগঞ্জ মহানগর ও এলাকাবাসী উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া Logo আনন্দমুখর সাহিত্য পত্রিকা ও পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠিত হলো কলকাতা বঙ্গ সন্মাননা -২০২৫ Logo রূপগঞ্জ ৪ দিনের টানা বর্ষণে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি Logo হাসিনার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার আজ Logo জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ Logo গাজায় আরও ৬০ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ Logo ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল পিএসজি Logo সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য শিক্ষার্থীকে খয়রাতি মার্ক দেয়া হবে না : শিক্ষা উপদেষ্টা

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি ২৪ পরিবারের

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের ২৪ ভুক্তভোগীর পরিবার। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে গত মার্চ মাসে দালালের মাধ্যমে ইতালির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় শরীয়তপুরের ১৯ জন ও মাদারীপুরের পাঁচজন। পরে তাদের ইতালি পৌঁছানোর কথা বলে লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের জিম্মি করে নির্যাতন করে ভিডিও পাঠিয়ে বেশ কয়েক দফায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এরপরও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। দ্রুত মানব পাচারকারীদের জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের মুক্তি ও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী শাজাহান হাওলাদারের মা মেহেরজান বলেন, আমার সন্তান বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে কিছুই জানি না। দালাল মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমার সন্তানকে লিবিয়ায় আটকে রেখেছে। ভিটা বাড়ি বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছি, কিন্তু এরপরও তারা আমার সন্তানকে ছাড়েনি। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই।

আরেক ভুক্তভোগীর বাবা চুন্নু ভূঁইয়া বলেন, মাফিয়ারা কয়েক দফায় ২৮ লাখ টাকা নিয়েছে। আমি সহায়-সম্বল বিক্রি করে তাদের হাতে টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখনো জানি না আমার ছেলে লিবিয়ায় কী অবস্থায় আছে। আমি দালালদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই আর দালালদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। কোর্টের মাধ্যমে মামলাগুলো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি ২৪ পরিবারের

আপডেট সময় ১০:১১:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের ২৪ ভুক্তভোগীর পরিবার। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে গত মার্চ মাসে দালালের মাধ্যমে ইতালির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় শরীয়তপুরের ১৯ জন ও মাদারীপুরের পাঁচজন। পরে তাদের ইতালি পৌঁছানোর কথা বলে লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের জিম্মি করে নির্যাতন করে ভিডিও পাঠিয়ে বেশ কয়েক দফায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এরপরও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। দ্রুত মানব পাচারকারীদের জিম্মিদশা থেকে স্বজনদের মুক্তি ও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী শাজাহান হাওলাদারের মা মেহেরজান বলেন, আমার সন্তান বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে কিছুই জানি না। দালাল মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমার সন্তানকে লিবিয়ায় আটকে রেখেছে। ভিটা বাড়ি বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছি, কিন্তু এরপরও তারা আমার সন্তানকে ছাড়েনি। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই।

আরেক ভুক্তভোগীর বাবা চুন্নু ভূঁইয়া বলেন, মাফিয়ারা কয়েক দফায় ২৮ লাখ টাকা নিয়েছে। আমি সহায়-সম্বল বিক্রি করে তাদের হাতে টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখনো জানি না আমার ছেলে লিবিয়ায় কী অবস্থায় আছে। আমি দালালদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই আর দালালদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। কোর্টের মাধ্যমে মামলাগুলো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।