ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, পুতিনকে নিয়ে অসন্তোষ Logo বেনারসি, ভারী গহনায় চমকে দিলেন পরীমণি Logo সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের Logo বই পড়ার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় : ডিসি Logo সোনারগাঁয়ে ৩ টি অবৈধ চুনা কারখানা গুড়িয়ে দিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন Logo নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সামনে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে Logo পানিতে তলিয়ে আছে সিদ্ধিরগঞ্জের ইকবাল গ্রুপ, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে সিইও Logo রূপগঞ্জ মধুখালি তিনরাস্তার মোড়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের উৎপাত; প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন Logo রূপগঞ্জে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মশাল মিছিল নিহত সোহাগসহ সব হত্যার বিচার দাবি Logo এবার কি অন্যের ঘরভাঙার কারণ হচ্ছেন সামান্থা?

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, পুতিনকে নিয়ে অসন্তোষ

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

আপডেট সময় ০৯:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।