ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী লীগের দোসর যুবলীগ সভাপতি গোলাম কাদির মেম্বারের আমলনামার কুকীর্তি ফাঁস Logo মানবিক ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী Logo সম্পত্তির জন্য পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম, ছেলে রুবেল গ্রেফতার Logo “গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান Logo কুমিল্লায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেফতার Logo ৩ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ইশতেহার পাঠ করা হবে : নাহিদ ইসলাম Logo লাঙ্গল মার্কা লোকেরা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না : এড.টিপু Logo সোনারগাঁয়ে আ’লীগের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আহত Logo আমি মেইড ইন নারায়ণগঞ্জ : মাসুদুজ্জান মাসুদ Logo বন্দরে আকিজ ফিড ফ্যাক্টরীর বায়ু দূষণের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের দোসর যুবলীগ সভাপতি গোলাম কাদির মেম্বারের আমলনামার কুকীর্তি ফাঁস

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

আপডেট সময় ০৯:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।