ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক Logo নাঃগঞ্জ মহানগর জিসাস ও জেলা জিসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠান ও খাবার বিতরন Logo শহীদ জিয়া’র ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ১৫নং ওয়ার্ড নায়ণগঞ্জ মহানগর ও এলাকাবাসী উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া Logo আনন্দমুখর সাহিত্য পত্রিকা ও পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠিত হলো কলকাতা বঙ্গ সন্মাননা -২০২৫ Logo রূপগঞ্জ ৪ দিনের টানা বর্ষণে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি Logo হাসিনার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার আজ Logo জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ Logo গাজায় আরও ৬০ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ Logo ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল পিএসজি Logo সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য শিক্ষার্থীকে খয়রাতি মার্ক দেয়া হবে না : শিক্ষা উপদেষ্টা

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

আপডেট সময় ০৯:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।