ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল Logo নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই : শফিকুল আলম Logo বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান করলো মানব কল্যাণ পরিষদ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্মেসিতে অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা Logo ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ Logo ফতুল্লায় কথিত বিএনপি নেতার হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৩ Logo সোনারগাঁয়ে রাস্তায় পড়ে রইল সরকারি ওএমএস চালের বস্তা, চাঞ্চল্য Logo ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছে- আবু জাফর আহমেদ বাবুল Logo রূপগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থী রেদুয়ান’র চোখ উপড়ে ফেলেও সন্ত্রাসী রিফাত গং থেমে নেই, উল্টো মামলা তুলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন Logo যা ভালো লাগে তাই করতে চাই : ভাবনা

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ার, অনিশ্চিত সন্তানের ভবিষ্যৎ

আপডেট সময় ০৯:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে ভাত খাইলাম। ওই সময় কার যেন একটা ফোন আসলো। ফোন ধরে ও শুধু বললো, তোমরা থাকো, কিছুক্ষণ পর আসতেছি, বলেই সে চলে গেল। সারারাত আর আসলো না। মেয়েটারে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছিলাম, এখন মানুষটাই নাই। এখন কী হবে?’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী হারানোর শোকে ছয় বছর বয়সী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী লিপি আক্তার।

শনিবার বিকেলে নিহত আনোয়ার হোসেনের (৩৬) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন ওই এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। মাত্র ৭ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো জয়গা জমি নেই। বাবা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে ছোট্ট মাংসের দোকান করেন। আনোয়ার হোসেন দর্জি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন।

আনোয়ারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, খুবই কষ্ট করে মানুষ করলাম। কখনো কল্পনাও করি নাই, এভাবে আমার এক ছেলে মারা যাবে। এখন নাতনিটার কী হবে। এতিম হয়ে গেল।