ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা চুরির মামলায় মুন ডাইং এর মালিক সহ দু’জন গ্রেফতার Logo গজারিয়ায় অবৈধ চুনা কারখানায় তিতাসের উচ্ছেদ অভিযান Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি সাইয়্যেদুল বাশার সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল হাসান শাওন Logo লৌহজংয়ে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন জায়গা দখল নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ Logo না.গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানাল আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা Logo মুন্সীগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ Logo মুন্সীগঞ্জে দুই দিনে ৯ মরদেহ উদ্ধার Logo রূপগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা Logo সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার Logo মুন্সীগঞ্জে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি বৃদ্ধিসহ ৮ দাবি

প্রতিনিয়তই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। সিন্ডিকেট, আমদানি জটিলতা ও তদারকির অভাবে এসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে বলে জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এজন্য বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বাজার তদারকি কার্যক্রম বৃদ্ধি করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কর্তৃক আলু, পেয়াঁজ ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষত আলু, পেঁয়াজ এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু মান ভেদে এখনো ৭৫-৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১৫-১৩০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৫-১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এবার আলুর দামের এমন অবস্থা। বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে মজুদ থাকায় ও আমদানি জটিলতার কারণে এবার আলুর দাম ভোগাচ্ছে ক্রেতাদের। অবশ্য দাম নিয়ন্ত্রণে বা আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক করতে নেই যথাযথ তদারকি। হিমাগার পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকায় আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে আলুর মতো নিয়ন্ত্রণে আসেনি পেঁয়াজের দাম। দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি থাকা পেঁয়াজের দামও এখনও কেজিপ্রতি ১১৫-১৩০ টাকা।

তারা বলেন, কৃষক পর্যায় থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন থেকে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ঘটনা বারবার ঘটছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সজাগ ও সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা চুরির মামলায় মুন ডাইং এর মালিক সহ দু’জন গ্রেফতার

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি বৃদ্ধিসহ ৮ দাবি

আপডেট সময় ০৬:৪০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতিনিয়তই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। সিন্ডিকেট, আমদানি জটিলতা ও তদারকির অভাবে এসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে বলে জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এজন্য বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বাজার তদারকি কার্যক্রম বৃদ্ধি করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কর্তৃক আলু, পেয়াঁজ ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষত আলু, পেঁয়াজ এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু মান ভেদে এখনো ৭৫-৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১৫-১৩০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৫-১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এবার আলুর দামের এমন অবস্থা। বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে মজুদ থাকায় ও আমদানি জটিলতার কারণে এবার আলুর দাম ভোগাচ্ছে ক্রেতাদের। অবশ্য দাম নিয়ন্ত্রণে বা আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক করতে নেই যথাযথ তদারকি। হিমাগার পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকায় আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে আলুর মতো নিয়ন্ত্রণে আসেনি পেঁয়াজের দাম। দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি থাকা পেঁয়াজের দামও এখনও কেজিপ্রতি ১১৫-১৩০ টাকা।

তারা বলেন, কৃষক পর্যায় থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন থেকে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ঘটনা বারবার ঘটছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সজাগ ও সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।