নিজস্ব প্রতিনিধি- নাঃগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর নন্দলালপুর এলাকার মোঃ আলী আরশাদ সরকার এর পুত্র জাহিদ হাসান সরকার (৩৪) ও কণ্যা নূরুন্নাহার (৩৬) এর বিরুদ্ধে প্রতারনা ও টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সাথে ঘটনার সত্যতা আড়াল করতে ভুক্তভোগীর জুয়েলর বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে দাবি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার প্রকৃত ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ন্যায় বিচারের দাবি জানান আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, পূর্ব দেলপড়া এলাকার মোঃ বাবুল মিযার পুত্র ব্যবসায়ী জুয়েল (৩৫) এর নিকট থেকে ব্যবসার কারন দেখিয়ে জাহিদ হাসান সরকার বিগত বছরের ১০ অক্টোবর কর্য চুক্তিনামা দলিলে ও জামানত চেকমূলে প্রথমে ১৫ লক্ষ টাকা কর্য হিসেবে নিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন পর পর উক্ত টাকা ফেরত না দিয়ে নানা তালবাহানায় ধারাবাহিক ভাবে আগের টাকাসহ আরো তিনধাপে কর্য চুক্তিনামা দলিলে মোট ১ কোটি টাকা নিয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে জাহিদ হাসান সরকার টাকা ফেরত না দিয়ে এর বিপরীতে দেউলপাড়া মৌজায় ০৬ শতাংশের উপর নির্মিত বসত বাড়ি’র মালিকানা সে ও তার বোন নূরুন্নাহার হস্তান্তর করে দিবে বলে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাকে আরো ৪০ লক্ষ টাকা নগদে দিতে হবে।মোঃ জুয়েল টাকা ফেরত না পেয়ে কোন দিকপাল চিন্তা ভাবনা নাকরে তাদের কথায় রাজি হয়ে যায়। সে টাকা ব্যবস্হা করতে জুয়েল তার আত্নীয় স্বজনের নিকট থেকে ও স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বিক্রি করে আরো ২০ লক্ষ টাকা নগদে নিয়ে আসে এবং বলে কিছু দিন পর বাকি ২০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু চতুর ও প্রতারক ভন্ড বহু রুপধারী জাহিদ হাসান সরকার সু কৌশলে মনে মনে প্রতারনা ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতে বলেন আমি রাজি কিন্তু আমার বোন রাজি নন। রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে পুরো টাকা দিতে হবে আর তা না হলে এখন বায়না নামা দলিল করতে হবে। সহজ সরল জুয়েল তাদের প্রতারনা বুঝতে না পেরে সহজে বিশ্বাস করে ২২-৮-২০২৪ ইং তারিখে ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা মূল্য ধার্য করে ১ লক্ষ ২০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে বাকি ২০ লক্ষ টাকা রেখে ৭৪৩৩ নং দলিল মূলে জমিসহ বসত বাড়ির মালিক হন।
জুয়েল বায়না মূলে মালিক হয়ে বাড়িতে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলেই জাহিদ হাসান সরকার এর প্রতারনার তথ্য বের হয়ে আসে।সেই সাথে তার ভণ্ডামি। জুয়েল কে বাযনা করার পূর্বেই জাহিদ হাসান সরকার এই জমি ফতুল্লা পঞ্চবটী শাখার আই এফ আই সি ব্যাংক লিমিটেড হতে ৬৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন যা পরিশোধ করেননি। জুয়েল বিষয়টি জেনে ভেঙে পড়েন এবং জাহিদ হাসান সরকার কে সমাধানের জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু
চতুর ও ঠকবাজ জাহিদ হাসান সরকার কোন সমাধান না করে উল্টো জুয়েল এর বিরুদ্ধে জেলা- নারায়ণগঞ্জ। বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত এ দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ৫৬৮/২০২৪। এবং জেলা -নারায়ণগঞ্জ। মোকামঃ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ০২ নং আমলী আদালত। পিটিশন মোকদ্দমা নং-৪২০/২০২৪। এ ছাড়াও আরো দুটি মামলা দায়ের করলেও আদালত তাহা খারিজ করে দেন। জুয়েল প্রতারিত হয়ে মানসিক ভাবে বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে না পারার মধ্যেই জাহিদ হাসান সরকারের এ রুপ মামলা দেখে হতাশায় ডুবতে থাকে। তবুও আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় জুয়েল সে-ও জাহিদ হাসান সরকার এর বিরুদ্ধে মোকাম ঃ নারায়নগঞ্জ। বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ০২ নং আদালতে সি আর মামলা নং- ৪২৭/২০২৪ ও মোকাম বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, নারায়ণগঞ্জ এ পিটিশন মামলা নং- ৫৩০/২০২৪ মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে উভয় পক্ষের মামলা চলমান রহিয়াছে। জাহিদ হাসান সরকার তার সাথে থাকা কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের নিয়ে একটি প্রতারক চক্র গড়ে তুলে বিভিন্ন কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে থাকে বলেও সকলের অভিযোগ।
সহজ সরল জুয়েল তার সমস্ত ব্যবসার টাকা জাহিদ হাসান সরকার কে দিয়ে এখন প্রতারিত হয়ে নিঃস্ব হয়ে অসহায়ের মতো বেঁচে আছে। এখন সে নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে দিকে তাকিয়ে আছে। জুয়েল এখন জাহিদ হাসান সরকার এর প্রতারনা ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদ থেকে মুক্তি চায় এবং সুস্থ সুন্দর ভাবে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে মানবিক সকলের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন।