ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বুড়ো’ রোনালদোর বাইসাইকেল কিক

ফুটবলে নিখুঁত নিশানা ও গতিবিধির সামঞ্জস্য রেখে শূন্যে লাফিয়ে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরানোর মতো দৃষ্টিনন্দন শট সাধারণত বাইসাইকেল কিক নামে পরিচিত। দর্শনীয় এই শট রূপায়ণ সহজসাধ্য কাজ নয়। এমন শট রূপায়ণে প্রয়োজন দুর্দান্ত কৌশল, ফিটনেস আর মনোযোগের সঠিক সমন্বয়।

চোটে পড়ার শঙ্কা থাকায় এই ধরনের শট হরহামেশা দেখা যায় না। বয়স যখন বাড়তে থাকে ফুটবলাররাও তখন দৃষ্টিনন্দন শটে সমথর্কদের মন জোগানোর অভিপ্রায়ে ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু ব্যতিক্রম তো আছে। বয়সের বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে চলা পর্তুগিজ যুবরাজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই বড় উদাহরণ।চল্লিশের কোটায় পা দিয়েও পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঝুঁকি নিয়েছেন। করেছেন তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো এক বাইসাইকেল কিক।

উয়েফা নেশনস লিগে পোল্যান্ডের বিপক্ষে শুক্রবার রাতে দুবার জাল কাঁপিয়েছেন রোনালদো। যার প্রথমটি পানেনকা শটে, দ্বিতীয়টি বাইসাইকেল কিকে। যেটি ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৩৫তম গোল। জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচে জোড়া গোল করা খেলোয়াড়

হিসেবে রোনালদো এখন সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার। যদিও সব ছাপিয়ে ম্যাচের মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ওই বাইসাইকেল কিক। যা নিয়ে রীতিমতো ফুটবল বিশ্বে হইচই পড়ে গেছে। বুড়ো বয়সেও শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে রোনালদোর এমন কৌশলী গোল স্রেফ অবিশ্বাস্য ব্যাপার না বলে পারা যায় না। অবশ্য সেটিই প্রমাণ করে বুড়ো বয়সেও কম যান না রোনালদো। তার অভাবনীয় পারফরম্যান্সে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল।

বাইসাইকেল গোলের পর পিঠে হাত দিয়ে বুড়ো মানুষদের মতো হাঁটার ভঙ্গি করে মজাও করেছেন রোনালদো। আর ম্যাচে শেষে অবসর প্রশ্নে দিয়েছেন সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘আমি শুধু খেলাটা উপভোগ করে যেতে চাই। অবসর নিয়ে চিন্তা, এটা হবে এক বা দুই বছর পর। আমি জানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি উজ্জীবিত থাকি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আসলেই উপভোগ করতে চাই নিজের খেলাটা। যেদিন আমি এটা অনুভব করব না সেদিনই বিদায় বলে দেব।’

পেশাদার ফুটবলে রোনালদোর ক্যারিয়ার গোল এখন ৯১০টি। ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের সামনে এখন এক হাজার গোল করার হাতছানি। যেভাবে ছুটছেন তাতে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেলে এই লক্ষ্য অর্জন একেবারে অসম্ভব হবে না তার জন্য। তবে রোনালদো এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তার করার পক্ষে নন, ‘সত্যি বলতে আমি এক হাজার ক্যারিয়ার গোলের রেকর্ড নিয়ে একেবারেই চিন্তা করি না। অবশ্যই আপনি ইতিহাস গড়তে চাইবেন, তবে এই মুহূর্তে আমি রেকর্ড গড়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি না।’

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

‘বুড়ো’ রোনালদোর বাইসাইকেল কিক

আপডেট সময় ১০:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ফুটবলে নিখুঁত নিশানা ও গতিবিধির সামঞ্জস্য রেখে শূন্যে লাফিয়ে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরানোর মতো দৃষ্টিনন্দন শট সাধারণত বাইসাইকেল কিক নামে পরিচিত। দর্শনীয় এই শট রূপায়ণ সহজসাধ্য কাজ নয়। এমন শট রূপায়ণে প্রয়োজন দুর্দান্ত কৌশল, ফিটনেস আর মনোযোগের সঠিক সমন্বয়।

চোটে পড়ার শঙ্কা থাকায় এই ধরনের শট হরহামেশা দেখা যায় না। বয়স যখন বাড়তে থাকে ফুটবলাররাও তখন দৃষ্টিনন্দন শটে সমথর্কদের মন জোগানোর অভিপ্রায়ে ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু ব্যতিক্রম তো আছে। বয়সের বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে চলা পর্তুগিজ যুবরাজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই বড় উদাহরণ।চল্লিশের কোটায় পা দিয়েও পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঝুঁকি নিয়েছেন। করেছেন তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো এক বাইসাইকেল কিক।

উয়েফা নেশনস লিগে পোল্যান্ডের বিপক্ষে শুক্রবার রাতে দুবার জাল কাঁপিয়েছেন রোনালদো। যার প্রথমটি পানেনকা শটে, দ্বিতীয়টি বাইসাইকেল কিকে। যেটি ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৩৫তম গোল। জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচে জোড়া গোল করা খেলোয়াড়

হিসেবে রোনালদো এখন সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার। যদিও সব ছাপিয়ে ম্যাচের মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ওই বাইসাইকেল কিক। যা নিয়ে রীতিমতো ফুটবল বিশ্বে হইচই পড়ে গেছে। বুড়ো বয়সেও শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে রোনালদোর এমন কৌশলী গোল স্রেফ অবিশ্বাস্য ব্যাপার না বলে পারা যায় না। অবশ্য সেটিই প্রমাণ করে বুড়ো বয়সেও কম যান না রোনালদো। তার অভাবনীয় পারফরম্যান্সে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল।

বাইসাইকেল গোলের পর পিঠে হাত দিয়ে বুড়ো মানুষদের মতো হাঁটার ভঙ্গি করে মজাও করেছেন রোনালদো। আর ম্যাচে শেষে অবসর প্রশ্নে দিয়েছেন সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘আমি শুধু খেলাটা উপভোগ করে যেতে চাই। অবসর নিয়ে চিন্তা, এটা হবে এক বা দুই বছর পর। আমি জানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি উজ্জীবিত থাকি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আসলেই উপভোগ করতে চাই নিজের খেলাটা। যেদিন আমি এটা অনুভব করব না সেদিনই বিদায় বলে দেব।’

পেশাদার ফুটবলে রোনালদোর ক্যারিয়ার গোল এখন ৯১০টি। ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের সামনে এখন এক হাজার গোল করার হাতছানি। যেভাবে ছুটছেন তাতে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেলে এই লক্ষ্য অর্জন একেবারে অসম্ভব হবে না তার জন্য। তবে রোনালদো এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তার করার পক্ষে নন, ‘সত্যি বলতে আমি এক হাজার ক্যারিয়ার গোলের রেকর্ড নিয়ে একেবারেই চিন্তা করি না। অবশ্যই আপনি ইতিহাস গড়তে চাইবেন, তবে এই মুহূর্তে আমি রেকর্ড গড়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি না।’