কাজের সন্ধানে সৌদি গিয়ে তিন দিনের মাথায় মো. বায়জিদ হাওলাদার (৪০) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে অর্থাভাবে মরদেহ দেশে আনতে পারছে না তার পরিবার। সৌদিতে মারা যাওয়া ওই যুবক বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের চরপাড়া নামক এলাকার মো. ইউনুস হাওলাদারের ছেলে।
বায়জিদের পাশের রুমে থাকা কবির নামের এক সৌদি প্রবাসীর মৃত্যুর বিষয়টি তার স্বজনদের কাছে নিশ্চিত করেন। বর্তমানে মরদেহটি রিয়াদের একটি হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে বলে জানান তিনি। মৃত্যুর প্রায় ১০ দিন সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বায়জিদের মরদেহ অর্থাভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে বাবা ইউনুস হওলাদারের মৃত্যুর পর পরিবারের সকল দায়িত্ব পালন করেন বায়জিদ। দিনমজুরের কাজ করে শয্যাশায়ী বৃদ্ধ মাসহ স্ত্রী, সন্তান ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ভাইয়ের ভরণপোষণ এবং সংসারের সব খরচ চালিয়েছেন তিনি। দিনমজুরির টাকায় খেয়ে না খেয়ে জীবন চলতে থাকায় বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বায়জিদ। পরে এলাকার বিভিন্ন মানুষের থেকে ধার দেনাসহ একটি এনজিও থেকে ঋণের মাধ্যমে টাকার ব্যবস্থা করে সৌদি আরব যান। তবে সৌদি পৌঁছানোর তিন দিনের মাথায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বায়জিদের হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে হতবাক হয়ে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার সক্ষমতাও নেই পরিবারের সদস্যদের।