ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে জবাব দেবে টাইগাররা

লাল বলের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কখনো জয় না পাওয়ার যে আক্ষেপ রয়েছে সেটি ফুরোয়নি ঢাকাতেও। মিরপুর টেস্টে সহজ জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এগিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। বাকি রইল চট্টগ্রাম টেস্ট। শনিবার দুদলই পৌঁছায় বন্দরনগরীতে।

রোববার জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগারদের দেখা যায় অনুশীলনে। সাগরিকায় কড়া রোদের মধ্যেই দলের অনুশীলন পর্ব চলে পুরোদমে। সবচেয়ে বেশি মনোযোগটা ছিল ব্যাটারদের ওপর। কারণ প্রথম ম্যাচে রান পায়নি দলের শীর্ষ ব্যাটাররা। বিশেষ করে টপঅর্ডার ছিল ব্যর্থ। মূলত সে কারণেই দলের দ্বিতীয় টেস্টের আগে কোচদের বাড়তি মনোযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে নজরে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তিনি মনোযোগী ছাত্রের মতো শুনেছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পের কথা। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরাও ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন বেশ।

মিরপুর টেস্ট শেষ হতে না হতেই নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছে বেশ ভালোভাবেই। বলা যায় চট্টগ্রামেই শেষ হতে যাচ্ছে তার আট মাসের অধিনায়ক অধ্যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে চাইবেন তিনি।

দলের স্পিনার নাঈম হাসান জানিয়েছেন ঢাকার ভুল শুধরে চট্টগ্রামে প্রোটিয়াদের জবাব দিতে নামবে বাংলাদেশ দল, ‘ইনশাআল্লাহ, আমার মনে হয় এখানে আমরা ভালো একটা রেজাল্ট করব। আমরা সিরিজ সমতায় আনার চেষ্টা করব।’

নাঈমের ঘরের মাঠ। এ মাঠেই দুইবার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন এই অফস্পিনার। তার প্রত্যাশা একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই নিজের হোম গ্রাউন্ডে খেলতে খুব ভালো লাগে। আগেও খেলেছি, আমার ক্যারিয়ারের দুটা ফাইফার এখানে। খেলার সুযোগ পেলে নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার মনে হয় মিরপুরে যে উইকেট ছিল এখানে ভিন্ন উইকেট থাকবে। আমাদের স্পিনাররা তো বেশ ভালো শেপে আছে; তাইজুল ভাই, মিরাজ ভাই-ইনশাআল্লাহ আমাদের ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।’

ঢাকায় বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটাররা সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি। ফিল্ডিংটাও ছিল নড়বড়ে। নাঈমের প্রত্যাশা তিন বিভাগে ভালো করতে পারলে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনা সম্ভব, ‘আসলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের চিন্তা করতে হবে রেজাল্ট হবে পাঁচ দিন পর, আমাদের চেষ্টা করতে হবে যে যার কাজটা শতভাগ করার। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যার যার বিভাগ যদি আমরা ফুলফিল করতে পারি, প্রসেস অনুযায়ী খেলতে পারি তা হলে দিন শেষে রেজাল্টটা ভালো হবে।’

চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের লাকি ভেন্যু বলা হয়। এ মাঠে অনেক কীর্তি রয়েছে বাংলাদেশ দলের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে সেশন ধরে ধরে এগোনোর কথাই বললেন নাঈম, ‘সবাই আশাবাদী আমরা, জেতার জন্যই খেলব ইনশাআল্লাহ। দিন শেষে আমাদের পরিকল্পনা হলো প্রসেস অনুযায়ী খেলতে থাকব। পাঁচ দিন পর রেজাল্ট আসবে, রেজাল্টের কথা এখন চিন্তা করলে প্রসেসটা তো ম্যান্টেন হবে না।’

চট্টগ্রামের মাঠ শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, ঘরের ছেলে নাঈমেরও লাকি ভেন্যু। এ মাঠেই নিজের সবশেষ ম্যাচে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তাই ঢাকার ভুল শুধরে খেলায় মনোযোগ দিতে চান তিনি, ‘সবশেষ ম্যাচ যখন খেলেছি এ মাঠে ৬ উইকেট পেয়েছি। এখন প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে আমাদের, চেষ্টা করছি নিজের শতভাগ দেওয়ার জন্য। মাঠে যা যা দরকার সেগুলোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবশেষ ম্যাচে যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি যেন সামনে আর না হয়।’

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে জবাব দেবে টাইগাররা

আপডেট সময় ১০:৪১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

লাল বলের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কখনো জয় না পাওয়ার যে আক্ষেপ রয়েছে সেটি ফুরোয়নি ঢাকাতেও। মিরপুর টেস্টে সহজ জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এগিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। বাকি রইল চট্টগ্রাম টেস্ট। শনিবার দুদলই পৌঁছায় বন্দরনগরীতে।

রোববার জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগারদের দেখা যায় অনুশীলনে। সাগরিকায় কড়া রোদের মধ্যেই দলের অনুশীলন পর্ব চলে পুরোদমে। সবচেয়ে বেশি মনোযোগটা ছিল ব্যাটারদের ওপর। কারণ প্রথম ম্যাচে রান পায়নি দলের শীর্ষ ব্যাটাররা। বিশেষ করে টপঅর্ডার ছিল ব্যর্থ। মূলত সে কারণেই দলের দ্বিতীয় টেস্টের আগে কোচদের বাড়তি মনোযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে নজরে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তিনি মনোযোগী ছাত্রের মতো শুনেছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পের কথা। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরাও ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন বেশ।

মিরপুর টেস্ট শেষ হতে না হতেই নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছে বেশ ভালোভাবেই। বলা যায় চট্টগ্রামেই শেষ হতে যাচ্ছে তার আট মাসের অধিনায়ক অধ্যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে চাইবেন তিনি।

দলের স্পিনার নাঈম হাসান জানিয়েছেন ঢাকার ভুল শুধরে চট্টগ্রামে প্রোটিয়াদের জবাব দিতে নামবে বাংলাদেশ দল, ‘ইনশাআল্লাহ, আমার মনে হয় এখানে আমরা ভালো একটা রেজাল্ট করব। আমরা সিরিজ সমতায় আনার চেষ্টা করব।’

নাঈমের ঘরের মাঠ। এ মাঠেই দুইবার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন এই অফস্পিনার। তার প্রত্যাশা একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই নিজের হোম গ্রাউন্ডে খেলতে খুব ভালো লাগে। আগেও খেলেছি, আমার ক্যারিয়ারের দুটা ফাইফার এখানে। খেলার সুযোগ পেলে নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার মনে হয় মিরপুরে যে উইকেট ছিল এখানে ভিন্ন উইকেট থাকবে। আমাদের স্পিনাররা তো বেশ ভালো শেপে আছে; তাইজুল ভাই, মিরাজ ভাই-ইনশাআল্লাহ আমাদের ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।’

ঢাকায় বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটাররা সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি। ফিল্ডিংটাও ছিল নড়বড়ে। নাঈমের প্রত্যাশা তিন বিভাগে ভালো করতে পারলে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনা সম্ভব, ‘আসলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের চিন্তা করতে হবে রেজাল্ট হবে পাঁচ দিন পর, আমাদের চেষ্টা করতে হবে যে যার কাজটা শতভাগ করার। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যার যার বিভাগ যদি আমরা ফুলফিল করতে পারি, প্রসেস অনুযায়ী খেলতে পারি তা হলে দিন শেষে রেজাল্টটা ভালো হবে।’

চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের লাকি ভেন্যু বলা হয়। এ মাঠে অনেক কীর্তি রয়েছে বাংলাদেশ দলের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে সেশন ধরে ধরে এগোনোর কথাই বললেন নাঈম, ‘সবাই আশাবাদী আমরা, জেতার জন্যই খেলব ইনশাআল্লাহ। দিন শেষে আমাদের পরিকল্পনা হলো প্রসেস অনুযায়ী খেলতে থাকব। পাঁচ দিন পর রেজাল্ট আসবে, রেজাল্টের কথা এখন চিন্তা করলে প্রসেসটা তো ম্যান্টেন হবে না।’

চট্টগ্রামের মাঠ শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, ঘরের ছেলে নাঈমেরও লাকি ভেন্যু। এ মাঠেই নিজের সবশেষ ম্যাচে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তাই ঢাকার ভুল শুধরে খেলায় মনোযোগ দিতে চান তিনি, ‘সবশেষ ম্যাচ যখন খেলেছি এ মাঠে ৬ উইকেট পেয়েছি। এখন প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে আমাদের, চেষ্টা করছি নিজের শতভাগ দেওয়ার জন্য। মাঠে যা যা দরকার সেগুলোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবশেষ ম্যাচে যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি যেন সামনে আর না হয়।’