ঢাকা , রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ১৪ মাসে চার্জশিট হয়নি একটি মামলারও, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা Logo ভয়াবহ ‘সুনামি’র কবলে ইসরাইল! Logo ইতিহাস গড়ার প্রস্তুতি যেভাবে নিতে চলেছেন মুশফিক Logo সেই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সামিরা মাহি Logo ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম, সেটা জামায়াতে ইসলাম না : মনির হোসাইন কাসেমী Logo মুসুল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাচ্ছেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম Logo কাদিয়ানী অমুসলিম ঘোষণা দাবিতে ডিআইটিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সোনারগাঁয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার Logo রূপগঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত উচ্ছেদ যৌথ অভিযান Logo বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা, গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু জাফর আহমেদ বাবুল

বাংলাদেশে আর যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন না ঘটে : ভলকার টুর্ক

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আগের সরকারের আমলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জবাবদিহিতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রথম জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহতদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত সপ্তাহে দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ‌‘টাস্ক ফোর্স ফর ইনট্রোগেশন সেল’ এবং ‘যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেলের’ বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুম ও নির্যাতনের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয়। ট্রাইব্যুনাল বেশিরভাগ সাবেক, তবে কিছু কর্মরত সামরিক কর্মকর্তার জন্যও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) বেশ কয়েকজন সাবেক মহাপরিচালক, পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক কর্মকর্তারাও।

গত শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয় যে, তারা পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের অভিযোগে তাদের এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাকে আটক করেছে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ফৌজদারি কার্যক্রমের জন্য আটকদের সেনাবাহিনীর অবিলম্বে উপযুক্ত বেসামরিক আদালতে হাজির করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভলকার টুর্ক বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে নিশ্চিত করা যথাযথ প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু বিচারের সবচেয়ে কঠোর মানদণ্ডের প্রতি আমি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। এসব স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের সময় যারা মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত, তাদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই জবাবদিহিতার আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছিল জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান রিপোর্টে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

১৪ মাসে চার্জশিট হয়নি একটি মামলারও, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা

বাংলাদেশে আর যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন না ঘটে : ভলকার টুর্ক

আপডেট সময় ১০:৪৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আগের সরকারের আমলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জবাবদিহিতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রথম জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহতদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত সপ্তাহে দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ‌‘টাস্ক ফোর্স ফর ইনট্রোগেশন সেল’ এবং ‘যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেলের’ বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুম ও নির্যাতনের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয়। ট্রাইব্যুনাল বেশিরভাগ সাবেক, তবে কিছু কর্মরত সামরিক কর্মকর্তার জন্যও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) বেশ কয়েকজন সাবেক মহাপরিচালক, পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক কর্মকর্তারাও।

গত শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয় যে, তারা পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের অভিযোগে তাদের এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাকে আটক করেছে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ফৌজদারি কার্যক্রমের জন্য আটকদের সেনাবাহিনীর অবিলম্বে উপযুক্ত বেসামরিক আদালতে হাজির করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভলকার টুর্ক বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে নিশ্চিত করা যথাযথ প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু বিচারের সবচেয়ে কঠোর মানদণ্ডের প্রতি আমি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। এসব স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের সময় যারা মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত, তাদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই জবাবদিহিতার আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছিল জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান রিপোর্টে।