সুপার ফোরের পথ খোলা রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ম্যাচ, সেখানে এসেই ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না ব্যাটাররা। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন জাকের আলি ও শামিম হোসেন। যদিও ম্যাচ জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হলো না।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত উড়ন্ত জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে টাইগারদের ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে লঙ্কানরা। এমন হারের পর অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডের পথ বেশ খানিকটা কঠিনই হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের।
আরব আমিরাতের মাটিতে এদিন মাঝারি রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের বল একের পর এক সীমানাছাড়া করেন লঙ্কান ব্যাটাররা। মুস্তাফিজ-শরীফুলদের পাত্তাই দেননি পাথুম নিশাঙ্কা, কামিল মিশারারা। ওপেনার নিশাঙ্কা ৫০ রানে বিদায় নিলেও কামিল ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতেয়ে ছাড়েন মাঠ। তবে এদিন লঙ্কানদের হয়ে রান পাননি কুশাল মেন্ডিস, কুশাল পেরেরারা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা দল, ৩২ বল বাকি থাকতেই। টাইগারদের হয়ে বল হাতে সুবিধা করতে পারেননি রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজরা। এদিন বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেন শেখ মেহেদী।
এর আগে শনিবার ম্যাচের শুরুতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। ইনিংসের প্রথম থেকেই সংগ্রাম করতে থাকেন ব্যাটাররা। তানজিদ তামিম-পারভেজ ইমনরা ফেরেন কোনো রান না করেই। লিটন দাস কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ফেরেন ২৮ রানে। ব্যর্থ হন শেখ মেহেদী-তাওহীদ হৃদয়ও।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর লড়াকু পুঁজি এনে দেন জাকের আলি ও শামিম হোসেন। কেননা সে সময় ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন জাকের ও শামিম। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়েন দুজনে। তাদের কল্যাণেই লড়াকু পুঁজি পায় দল।
শেষ পর্যন্ত শামিম ৩৪ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন। সমান সংখ্যক বল খেলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকেছিলেন জাকের। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের আত্মরক্ষা এমন ইনিংস কাজে আসলো না।