ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪০ লাখ টাকার ইলিশ মিললো এক ট্রলারে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চার দিন সাগরে জাল ফেলে ১৯৫ মণ ইলিশ ধরেছেন ১৭ জেলে। পরে এসব মাছ ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি ট্রলারে করে মাছগুলো উপজেলার আলীপুরে মেসার্স ফাইভ স্টার ফিশ নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে দিনব্যাপী মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে দাম হাঁকানো হয় ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। মঙ্গল ও বুধবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ইলিশগুলো ধরা পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ইলিশ শিকারে যায় এফবি বিসমিল্লাহ-১ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি। চার দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।

মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। তবে মাছের সাইজ ছোট হওয়ায় দাম কম পাওয়া গেছে। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতিমণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকার মাছ এসেছে এই ট্রলারে।

এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মালিক খলিলুর রহমান খান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।’

ট্রলারের মাঝি এখলাস গাজী বলেন, ‘ফিশিং করতে করতে কক্সবাজার সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। বর্তমানে সমুদ্রে মাছ ধরা পড়েছে না। এরমধ্যেও মহান আল্লাহ মাছ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, একটি ট্রলারে একসঙ্গে এত বেশি মাছ সবসময় পাওয়া যায় না। জেলেরা অনেক সময় মাছ না পেয়ে হতাশ হলেও এরকম খবর তাদের অনুপ্রাণিত করে। এটা তাদের একটি সফলতা বলবো।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

৪০ লাখ টাকার ইলিশ মিললো এক ট্রলারে

আপডেট সময় ০৯:০২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চার দিন সাগরে জাল ফেলে ১৯৫ মণ ইলিশ ধরেছেন ১৭ জেলে। পরে এসব মাছ ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি ট্রলারে করে মাছগুলো উপজেলার আলীপুরে মেসার্স ফাইভ স্টার ফিশ নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে দিনব্যাপী মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে দাম হাঁকানো হয় ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। মঙ্গল ও বুধবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ইলিশগুলো ধরা পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ইলিশ শিকারে যায় এফবি বিসমিল্লাহ-১ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি। চার দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।

মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। তবে মাছের সাইজ ছোট হওয়ায় দাম কম পাওয়া গেছে। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতিমণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকার মাছ এসেছে এই ট্রলারে।

এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মালিক খলিলুর রহমান খান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।’

ট্রলারের মাঝি এখলাস গাজী বলেন, ‘ফিশিং করতে করতে কক্সবাজার সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। বর্তমানে সমুদ্রে মাছ ধরা পড়েছে না। এরমধ্যেও মহান আল্লাহ মাছ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, একটি ট্রলারে একসঙ্গে এত বেশি মাছ সবসময় পাওয়া যায় না। জেলেরা অনেক সময় মাছ না পেয়ে হতাশ হলেও এরকম খবর তাদের অনুপ্রাণিত করে। এটা তাদের একটি সফলতা বলবো।