ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামান্য আদালতের উচ্ছেদ কাজে বন্দরে আনোয়ার গংদের বাধা ; বয়োবৃদ্ধ রেজিয়া হতাশাগ্রস্ত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা- নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সোনা কান্দার, ১৭৫ নং- কে. এন. সেন রোড, মাহমুদ নগর, কলাবাগান এলাকার মৃতঃ সদরুল আলম এর স্ত্রী বয়োবৃদ্ধ বিধবা রেজিয়া’র আংশিক জমি জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করে রাখেন জালাল উদ্দীন এর ছেলে আনোয়ার হোসেন গাং। দখল মুক্ত করতে রেজিয়া সামাজিক ভাবে অনেক চেষ্টার পর নিরুপায় হয়ে মোকাম নারায়ণগঞ্জ, বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ বন্দর আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- দেঃ নং-১৯৮/২০১৪। এ মামলায় রেজিয়া খাতুন রায় ডিগ্রি পায়। যাহার দেঃ ডিং- ০৭/২০২৪। এ রায়ের আদেশ বলে গত ২৬ অক্টোবর আদালত হইতে জেলা নাজির ও তাহার সহযোগী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১দিনের জন্য নির্বাহী আদেশ প্রদানের ক্ষমতা সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট বন্দর এসিল্যান্ড মহোদয় সরেজমিনে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বিবাদী পক্ষের বাঁধার সম্মুখীনে পড়ে বলে যানা যায় । বিবাদী ও বিবাদীর পক্ষ হয়ে এলাকার লোকজনের বাঁধার কারনে সেদিন উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম সমাপ্ত না করে পরবর্তী সময়ে এসে উচ্ছেদ করবেন বলে সবাই চলে আসেন। অনেক দিন গড়িয়ে গেলেও এখনো উচ্ছেদের পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন রেজিয়া । দীর্ঘ বছর মামলা পরিচালনা করে উচ্ছেদের রায় পাওয়া সত্বেও জমি বুজেনাপাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধা।

ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী বেজিয়া বলেন, আমি বিধবা, অহসায় ও দরিদ্র হওয়াতে আমার পাশের সীমানার আনোয়ার, শিল্পী, ফয়সাল, মিলা,লাল মাহমুদ ও সেলিনা এরা সবাই মিলে জোড় পূর্বক অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমার জমির কতক অংশ দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ করে। ইতোপূর্বে আমি বাধা দেয়ায় আমার উপর চড়াও হয়ে বেধম মারধোর করে। সামাজিক ভাবে বহুবার বসে ন্যায় সংঙ্গত কোন বিচার না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেই ন্যায় বিচারের আশায়। দীর্ঘ বছর মামলা পরিচালনার পর আদালত আমার পক্ষে রায় দেয় এবং দখল উচ্ছেদ করে আমার জমি বুজিয়ে দেয়ার আদেশ প্রদান করে। মহামান্য আদালতের রায়ের বলে গত ২৬ অক্টোবর শনিবার ম্যাজিস্টেট সহ কোর্টের লোকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। প্রতিপক্ষ আনোয়ার গং ও এলকার জালাল হোসেন এর ছেলে হুমায়ুন, মিয়া চান এর ছেলে শহিদুল্লাহ, হুদা মিয়ার ছেলে স্বপনসহ অজ্ঞাত নামা আরো লোকজন উচ্ছেদ এর আইনীকাজে বাধা নিষেধ করে। তাদের এ আচরণে আদালত হইতে আসা লোকজন তাহারা উচ্ছেদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন না করে ঘটনাস্থল হতে চলে যান। এবং আমাকে আসস্ত করেন কিছুদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদের কার্যক্রম করা হবে। দীর্ঘদিন হয়েগেলেও এখনো পর্যন্ত আমি কোন ফলাফল পাচ্ছি না।
বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি এবং হতাশাগ্রস্ত । কেননা আনোয়ার গং তারা সব সময় বলতো কোন আইন আদালত তাদের কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সে টাকার বিনিময়ে সব কিছু করতে পারে। তবে কি তাই হলো? তাহলে আমি এখন কার নিকট যাবো। আমি এখন মৃত্যু পদযাত্রী। আনোয়ার গং তারা এমটাও বলে আমি আর কদিন বাচবো। আমি মরে গেলে যেকোন সময় পুরো এ জমিই দখল করে নিবে। বর্তমানে আমি তাদের হুমকির মধ্যে রয়েছি।

রেজিয়া আরো বলেন, কোর্টের লোকজন উচ্ছেদ না করে চলে যাবার পর লোকমুখে আমি জানতে পারি কোর্ট হতে আসা লোকজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি প্রতিপক্ষের লোকজনের নিকট হতে লোক চক্ষুর আড়ালে গিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। আমার ধারনা যে টাকা নিয়েছে সেই ব্যক্তি কৌশলে উচ্ছেদ না করে সবাইকে নিয়ে চলে যান।

আমি একজন বয়োবৃদ্ধ হতদরিদ্র অসহায় নারী। আমি খেয়ে না খেয়ে প্রতিপক্ষের হুমকি ধামকি ও মারধোর খেয়ে দীর্ঘ বছর অর্থ খরচ করে মামলা পরিচালনা করেছি। আজ আদালতের আদেশ উচ্ছেদের রায় হলেও তা হতে বঞ্চিত হচ্ছি। টাকার কাছে মানবতা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। অপরাধীরা টাকা দিয়ে সব কিছু করতে পারে এটাই বুজলাম। তবুও আমি জীবনের শেষ পর্যন্ত আমার অধিকার আদায়ে ন্যায় বিচারের আশায় লড়ে যাবো।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

মহামান্য আদালতের উচ্ছেদ কাজে বন্দরে আনোয়ার গংদের বাধা ; বয়োবৃদ্ধ রেজিয়া হতাশাগ্রস্ত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

আপডেট সময় ১০:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব সংবাদদাতা- নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সোনা কান্দার, ১৭৫ নং- কে. এন. সেন রোড, মাহমুদ নগর, কলাবাগান এলাকার মৃতঃ সদরুল আলম এর স্ত্রী বয়োবৃদ্ধ বিধবা রেজিয়া’র আংশিক জমি জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করে রাখেন জালাল উদ্দীন এর ছেলে আনোয়ার হোসেন গাং। দখল মুক্ত করতে রেজিয়া সামাজিক ভাবে অনেক চেষ্টার পর নিরুপায় হয়ে মোকাম নারায়ণগঞ্জ, বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ বন্দর আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- দেঃ নং-১৯৮/২০১৪। এ মামলায় রেজিয়া খাতুন রায় ডিগ্রি পায়। যাহার দেঃ ডিং- ০৭/২০২৪। এ রায়ের আদেশ বলে গত ২৬ অক্টোবর আদালত হইতে জেলা নাজির ও তাহার সহযোগী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১দিনের জন্য নির্বাহী আদেশ প্রদানের ক্ষমতা সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট বন্দর এসিল্যান্ড মহোদয় সরেজমিনে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বিবাদী পক্ষের বাঁধার সম্মুখীনে পড়ে বলে যানা যায় । বিবাদী ও বিবাদীর পক্ষ হয়ে এলাকার লোকজনের বাঁধার কারনে সেদিন উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম সমাপ্ত না করে পরবর্তী সময়ে এসে উচ্ছেদ করবেন বলে সবাই চলে আসেন। অনেক দিন গড়িয়ে গেলেও এখনো উচ্ছেদের পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন রেজিয়া । দীর্ঘ বছর মামলা পরিচালনা করে উচ্ছেদের রায় পাওয়া সত্বেও জমি বুজেনাপাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধা।

ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী বেজিয়া বলেন, আমি বিধবা, অহসায় ও দরিদ্র হওয়াতে আমার পাশের সীমানার আনোয়ার, শিল্পী, ফয়সাল, মিলা,লাল মাহমুদ ও সেলিনা এরা সবাই মিলে জোড় পূর্বক অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমার জমির কতক অংশ দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ করে। ইতোপূর্বে আমি বাধা দেয়ায় আমার উপর চড়াও হয়ে বেধম মারধোর করে। সামাজিক ভাবে বহুবার বসে ন্যায় সংঙ্গত কোন বিচার না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেই ন্যায় বিচারের আশায়। দীর্ঘ বছর মামলা পরিচালনার পর আদালত আমার পক্ষে রায় দেয় এবং দখল উচ্ছেদ করে আমার জমি বুজিয়ে দেয়ার আদেশ প্রদান করে। মহামান্য আদালতের রায়ের বলে গত ২৬ অক্টোবর শনিবার ম্যাজিস্টেট সহ কোর্টের লোকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। প্রতিপক্ষ আনোয়ার গং ও এলকার জালাল হোসেন এর ছেলে হুমায়ুন, মিয়া চান এর ছেলে শহিদুল্লাহ, হুদা মিয়ার ছেলে স্বপনসহ অজ্ঞাত নামা আরো লোকজন উচ্ছেদ এর আইনীকাজে বাধা নিষেধ করে। তাদের এ আচরণে আদালত হইতে আসা লোকজন তাহারা উচ্ছেদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন না করে ঘটনাস্থল হতে চলে যান। এবং আমাকে আসস্ত করেন কিছুদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদের কার্যক্রম করা হবে। দীর্ঘদিন হয়েগেলেও এখনো পর্যন্ত আমি কোন ফলাফল পাচ্ছি না।
বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি এবং হতাশাগ্রস্ত । কেননা আনোয়ার গং তারা সব সময় বলতো কোন আইন আদালত তাদের কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সে টাকার বিনিময়ে সব কিছু করতে পারে। তবে কি তাই হলো? তাহলে আমি এখন কার নিকট যাবো। আমি এখন মৃত্যু পদযাত্রী। আনোয়ার গং তারা এমটাও বলে আমি আর কদিন বাচবো। আমি মরে গেলে যেকোন সময় পুরো এ জমিই দখল করে নিবে। বর্তমানে আমি তাদের হুমকির মধ্যে রয়েছি।

রেজিয়া আরো বলেন, কোর্টের লোকজন উচ্ছেদ না করে চলে যাবার পর লোকমুখে আমি জানতে পারি কোর্ট হতে আসা লোকজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি প্রতিপক্ষের লোকজনের নিকট হতে লোক চক্ষুর আড়ালে গিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। আমার ধারনা যে টাকা নিয়েছে সেই ব্যক্তি কৌশলে উচ্ছেদ না করে সবাইকে নিয়ে চলে যান।

আমি একজন বয়োবৃদ্ধ হতদরিদ্র অসহায় নারী। আমি খেয়ে না খেয়ে প্রতিপক্ষের হুমকি ধামকি ও মারধোর খেয়ে দীর্ঘ বছর অর্থ খরচ করে মামলা পরিচালনা করেছি। আজ আদালতের আদেশ উচ্ছেদের রায় হলেও তা হতে বঞ্চিত হচ্ছি। টাকার কাছে মানবতা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। অপরাধীরা টাকা দিয়ে সব কিছু করতে পারে এটাই বুজলাম। তবুও আমি জীবনের শেষ পর্যন্ত আমার অধিকার আদায়ে ন্যায় বিচারের আশায় লড়ে যাবো।