ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোরশায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

চলতি রবি মৌসুমে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। যা সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫২০ হেক্টর বেশি। সরিষার গাছ ও আবহাওয়া ভাল থাকলে বম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবারে সরিষার ভাল ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় উপজেলার কৃষকরা ভাল দামের আসায় বুক বাধছেন। তারা স্থানীয়ভাবে ব্যাপকভাবে বারী সরিষা- ১৪, বারী সরিষা- ১৫, ৯, ১৭, টরী-৭, বীনা- ৪, ১৮, ৪ ও বীনা-১৭, জাতের ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। তবে ফলন ভাল হওয়ার কারণে কৃষকরা বারী সরিষা- ১৪ বেশী লাগিয়েছেন বলে জানা গেছে। বারী সরিষা-১৪ বিঘা প্রতি ৮-৯ মন, টরি সরিষা -৭ প্রতি বিঘা ৫-৭ মন এবং বীনা জাতীয় সরিষা ৪-৫ হারে ফলন হতে পারে বলে কৃষকরা মনে করছেন। সরিষার বর্তমান বাজার দর ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকা মণ হলেও নতুন সরিষা ওঠার সময় এর দাম কিছুটা কমে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

 

কৃষকরা সরিষার ক্ষেত দেখে খুশি হলেও তারা দাম নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছেন। তবে বর্তমান বাজার দর থাকলে তাদের কোন সমস্যা হবেনা বলে জানান তারা। কোন কারনে দাম কম হলে সরিষা চাষ করতে যে খরচ হয়েছে তা মিটিয়ে নিজের কাছে অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না বলে মনে করছেন তারা। নিতপুরের সরিষাচাষী তৈয়মুদ্দিন, জাহাঙ্গীর, ইসলাম ও জালুয়া গ্রামের মোকছেদুর রহমান জানান, তাদের লাগানো সরিষার ক্ষেত খুব ভাল হয়েছে। তারা আসা করছেন ফলনও ভাল হবে। কিন্তু দাম ভাল হবে কিনা চিন্তা করছেন। তবে ভাল ফলনের পাশাপাশি দাম ভাল পেলে অনেকেই সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকবে বলেও তারা মনে করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর।

 

আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে সরিষা ক্ষেত খুব ভাল দেখা যাচ্ছে ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান, সরিষা চাষের প্রতি কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বছরের প্রথমেই কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। এবিষয়ে তারা নানান দিক নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকেরা ভবিষ্যতে সরিষা চাষের প্রতি আরও আগ্রহ দেখাবেন সে লক্ষেই তারা কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

পোরশায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০৪:১১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি রবি মৌসুমে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। যা সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫২০ হেক্টর বেশি। সরিষার গাছ ও আবহাওয়া ভাল থাকলে বম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবারে সরিষার ভাল ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় উপজেলার কৃষকরা ভাল দামের আসায় বুক বাধছেন। তারা স্থানীয়ভাবে ব্যাপকভাবে বারী সরিষা- ১৪, বারী সরিষা- ১৫, ৯, ১৭, টরী-৭, বীনা- ৪, ১৮, ৪ ও বীনা-১৭, জাতের ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। তবে ফলন ভাল হওয়ার কারণে কৃষকরা বারী সরিষা- ১৪ বেশী লাগিয়েছেন বলে জানা গেছে। বারী সরিষা-১৪ বিঘা প্রতি ৮-৯ মন, টরি সরিষা -৭ প্রতি বিঘা ৫-৭ মন এবং বীনা জাতীয় সরিষা ৪-৫ হারে ফলন হতে পারে বলে কৃষকরা মনে করছেন। সরিষার বর্তমান বাজার দর ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকা মণ হলেও নতুন সরিষা ওঠার সময় এর দাম কিছুটা কমে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

 

কৃষকরা সরিষার ক্ষেত দেখে খুশি হলেও তারা দাম নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছেন। তবে বর্তমান বাজার দর থাকলে তাদের কোন সমস্যা হবেনা বলে জানান তারা। কোন কারনে দাম কম হলে সরিষা চাষ করতে যে খরচ হয়েছে তা মিটিয়ে নিজের কাছে অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না বলে মনে করছেন তারা। নিতপুরের সরিষাচাষী তৈয়মুদ্দিন, জাহাঙ্গীর, ইসলাম ও জালুয়া গ্রামের মোকছেদুর রহমান জানান, তাদের লাগানো সরিষার ক্ষেত খুব ভাল হয়েছে। তারা আসা করছেন ফলনও ভাল হবে। কিন্তু দাম ভাল হবে কিনা চিন্তা করছেন। তবে ভাল ফলনের পাশাপাশি দাম ভাল পেলে অনেকেই সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকবে বলেও তারা মনে করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর।

 

আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে সরিষা ক্ষেত খুব ভাল দেখা যাচ্ছে ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান, সরিষা চাষের প্রতি কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বছরের প্রথমেই কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। এবিষয়ে তারা নানান দিক নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকেরা ভবিষ্যতে সরিষা চাষের প্রতি আরও আগ্রহ দেখাবেন সে লক্ষেই তারা কাজ করছেন বলে তিনি জানান।