এ বছরের বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য বেতার ও শান্তি সামনে রেখে বাংলাদেশ বেতারকে শান্তি ও মানবতার মন্ত্রে উজ্জীবিত অনুষ্ঠানমালা গ্রন্থনা ও প্রচারের নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ বেতারের সদর দফতর প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ড. হাছান বলেন, ‘করোনাপীড়িত, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ও উৎপাদন সংকটে নিপতিত বিশ্বে আজ যে অশান্তি বিরাজ করছে, সেখান থেকে উত্তরণের জন্য বেতারকে শান্তির বার্তা দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির আগ্রাসনে আমরা যেন যন্ত্র হয়ে না যাই, আমাদের মমত্ববোধ, সহমর্মিতা যেন না হারিয়ে যায়, সেজন্য মানবতার পতাকা তুলে রাখতে হবে। বেতারের সেই ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
বাংলাদেশ বেতারের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়ে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে এবং স্বাধীনতার পর দেশ গঠনেও অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘উঁচু পাহাড় থেকে সমুদ্র অবধি পৌঁছে যাওয়া বেতার তরঙ্গ মানুষকে বহু জরুরি তথ্য দেয়, বোধ সমৃদ্ধ করে।’
তথ্য সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিস প্রধান সুসান মারী ভাইজ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ ইরফান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে নৃত্য পরিচালক হাসনা ফিতরিয়া ফাহমিদা বানুর দলের ‘একটি দেশ একটি নেতা, একটি ডাকে স্বাধীনতা’ গীতি নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংগীতশিল্পী পূর্ণ চন্দ্র রায়, পল্লবী সরকার মালতী, অলোক সেন, তাসমিনা চৌধুরী অরিন, নাজু আখন্দ ও তার দল এবং আবৃত্তিকার লাল্টু হোসাইন ও ফাতেমা আফরোজ সোহেলী এতে অংশ নেন।
এর আগে দুপুরে বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে বেতার থেকে সংলগ্ন এলাকা ভ্রমণকারী র্যালি উদ্বোধন করেন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রোতা ক্লাবের সদস্যরা দিনব্যাপী আয়োজনে যোগ দেন।