ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কৃষক হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ আসামির যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জে কৃষক আমিরুল হক হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালত। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কিশোরগঞ্জ আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে কুদ্দুস মিয়াকে (৫০)। তার বড় দুই ভাই, আবুল কালাম (৬০) ও ধনু মিয়াকে (৫৫) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ধনু মিয়ার ছেলে ফুকন মিয়াকে (৩০) একই দণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন জন হলেন- একই এলাকার মুকুল মিয়া (৫৩), তার ছেলে নিকুল মিয়া (৩৩) ও আসক মিয়ার ছেলে সোনাফর (৫২)। রায় ঘোষণার সময় ফুকন মিয়া পলাতক ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাতে জেলার বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুরের নিজ বাড়ির ঘরের ভেতরে কৃষক আমিরুল হককে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। এ ঘটনার পর দিন ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর নিহতের বড় ছেলে শরীফ মিয়া বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন।

কিশোরগঞ্জ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবু সাঈদ ইমাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালে ১ মার্চ কিশোরগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম খাঁন সাত জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব সজীব। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষক হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ আসামির যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

কিশোরগঞ্জে কৃষক আমিরুল হক হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালত। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কিশোরগঞ্জ আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে কুদ্দুস মিয়াকে (৫০)। তার বড় দুই ভাই, আবুল কালাম (৬০) ও ধনু মিয়াকে (৫৫) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ধনু মিয়ার ছেলে ফুকন মিয়াকে (৩০) একই দণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন জন হলেন- একই এলাকার মুকুল মিয়া (৫৩), তার ছেলে নিকুল মিয়া (৩৩) ও আসক মিয়ার ছেলে সোনাফর (৫২)। রায় ঘোষণার সময় ফুকন মিয়া পলাতক ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাতে জেলার বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুরের নিজ বাড়ির ঘরের ভেতরে কৃষক আমিরুল হককে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। এ ঘটনার পর দিন ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর নিহতের বড় ছেলে শরীফ মিয়া বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন।

কিশোরগঞ্জ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবু সাঈদ ইমাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালে ১ মার্চ কিশোরগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম খাঁন সাত জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব সজীব। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।